অনলাইনে পরীক্ষা নিতে কাজ করছে পাবলিক বিশ্ববিদ্যালয়গুলো


করোনার কারণে এক বছরেরও বেশি সময় ধরে বন্ধ দেশের সব শিক্ষা প্রতিষ্ঠান। এ পরিস্থিতিতে বিশ্ববিদ্যালয় মঞ্জুরি কমিশন (ইউজিসি) পাবলিক বিশ্ববিদ্যালয়গুলোর শিক্ষা কার্যক্রমে গতি আনতে অনলাইনে স্নাতক ও স্নাতকোত্তর পর্যায়ের চূড়ান্ত পরীক্ষা নিতে বলেছে। যার সঙ্গে একমত হয়ে কাজ শুরু করেছে বেশিরভাগ পাবলিক বিশ্ববিদ্যালয়।
বৃহস্পতিবার (৬ মে) দেশের সব পাবলিক বিশ্ববিদ্যালয়ের উপাচার্যদের সঙ্গে ইউজিসির বৈঠক শেষে এ বিষয়ে একমত হয়েছে ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়সহ অন্য বিশ্ববিদ্যালয়গুলো। ঢাবি এরই মধ্যে তার অধিভুক্ত সাত কলেজসহ অনলাইনে শিক্ষার্থীদের পরীক্ষার বিষয়ে করণীয় ঠিক করতে কাজ শুরু করেছে।
বিশ্ববিদ্যালয়ের উপাচার্য অধ্যাপক ড. মো. আখতারুজ্জামানের সভাপতিত্ব অনুষ্ঠিত কাউন্সিলের ভার্চ্যুয়াল সভায় সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়- অনুষদের ডিন ও ইনস্টিটিউটের পরিচালকরা অনলাইনে পরীক্ষা গ্রহণের জন্য নিজ নিজ একাডেমিক ঘরানার পরীক্ষা ও প্রশ্নের ধরন নির্ধারণ করে একটি গাইডলাইন তৈরি করবেন। তারা আগামী দুই সপ্তাহের মধ্যে এই গাইডলাইন প্রো-ভাইস চ্যান্সেলর (শিক্ষা)-এর নিকট প্রেরণ করবেন।
অনলাইন পরীক্ষার বিষয়ে কি সিদ্ধান্ত হয়েছে এমন প্রশ্নের জবাবে বিশ্ববিদ্যালয় মঞ্জুরি কমিশনের সদস্য অধ্যাপক মুহাম্মদ আলমগীর একাত্তরকে বলেন, যেসব বিষয়ে অনলাইন ক্লাসে পাঠদান শেষ হয়েছে সেসব বিষয়ে পরীক্ষা হতে পারে। যদি মনে হয় কোনো ক্লাসে অনলাইনে মাধ্যমে পাঠদান সম্পন্ন হয়নি সে কোর্সটি পরীক্ষায় সংযুক্ত করা ঠিক হবে না। যেসব বিষয় শেষ হয়েছে সেসবই পরীক্ষায় সংযুক্ত করা যেতে পারে। এখন আমরা পরীক্ষার বিষয়ে না ভাবলে শিক্ষার্থীরা একবছর পিছিয়ে পড়বে।
শাহজালাল বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি বিশ্ববিদ্যালয়ের ভিসি অধ্যাপক ফরিদ উদ্দিন একাত্তরকে বলেন, আমরা শিক্ষার্থীদের তাদের প্রয়োজনীয় ডিভাইস দেওয়ার চেষ্টা করেছি। ডেটা সরবারহ করেছি। এমন অবস্থায় পরীক্ষা নেওয়া হলে তারা যদি কোনো সমস্যার সম্মুখীন হয় সেটাও আমরা দেখবো।
ইউজিসি সদস্য সাজ্জাদ হোসাইন জানান, করোনা মহামারিতে শিক্ষার্থীদের ক্ষতি পুষিয়ে নিতেই অনলাইনে পরীক্ষা নেওয়ার সিদ্ধান্ত এসেছে। তিনি বলেন, মহামারি কতদিন থাকবে, তার কোনো নিশ্চয়তা নাই। শিক্ষার্থীরা মানসিক চাপে আছে। সেজন্য আমাদের এখনই পরীক্ষা নিতে হবে। শিক্ষার্থীদের এক সেমিস্টারে বসিয়ে রাখা যাবে না।