কথিত এডভোকেট রাসেল সহ তিনজনের নামে চাঁদাবাজির অভিযোগ এনে আদালতে মামলা।

নিজস্ব প্রতিবেদকঃ ব্রাহ্মণবাড়িয়া বিজ্ঞ সিনিয়র জুডিশিয়াল আদালতে কথিত এডভোকেট রাসেল সহ তিনজনকে আসামি করে জায়গা সংক্রান্ত বিষয়ে ভাঙচুর, হুমকি ধামকি, চাঁদাবাজির অভিযোগ এনে ১৬ আগষ্ট ৩২৩/৩৮৫/৪২৭/৫০৬(২) ধারায় সি আর ৫২৫/২৩ নং মামলা দায়ের করেছে নবীনগরের মনির হোসেন নামক এক ব্যক্তি।
মামলা সূত্রে জানা যায়,উপজেলার চূওরিয়া মুন্সি রহিম উদ্দিন উচ্চ বিদ্যালয়ের জায়গা সংক্রান্ত বিষয়ে একই গ্রামের মৃত আবদুস ছালাম মিয়ার ছেলে মনির হোসেনের নিকট মোটা অংকের টাকা চাঁদা দাবি করে তারই প্রতিবেশী খলিলুর রহমানের ছেলে কথিত এডভোকেট রাসেল সহ তিনজন। চাঁদা দিতে অস্বীকার করায় ১২ আগষ্ট কথিত এডভোকেট রাসেল সহ তিনজন মনিরের বসত ঘরে ঢুকে ৭০ হাজার টাকার আসবাব পত্র ও কাচের মালামাল ভাঙচুর করে। এমনকি ঐ বিদ্যালয়ের জায়গা সংক্রান্ত বিষয়ে কোন ধরনের অবস্থান নিলে মনির কে বিদ্যালয়ের অভিভাবক সদস্য থেকে বাতিল করা সহ প্রাণ নাশের হুমকি ধামকিও দেয় তারা। এছাড়াও কথিত এডভোকেট রাসেলের নামে ইতিপূর্বে আদালতে আরো মামলা রয়েছে।
এবিষয়ে মামলার বাদী মনির হোসেন জানান, কথিত এডভোকেট রাসেল সে নিজেকে এডভোকেট পরিচয় দিয়ে গ্রামে ভয়ভীতি দেখিয়ে বিভিন্ন সময় চাঁদাবাজি করে আসছে,ঐদিন আমার নিকট ৫ লক্ষ টাকা চাঁদা দাবি করেছে,আমি না দেয়ায় আমার বাড়িতে ঢুকে ভাঙচুর চালিয়েছে,আমি এখন জীবনের নিরাপত্তাহীনতায় ভুগছি। তাই আমি ন্যায় বিচারের জন্য আদালতের দ্বারস্থ হয়েছি। আদালত মামলাটির তদন্তের জন্য জেলা গোয়েন্দা সংস্থা ডিবি কে দায়িত্ব দিয়েছে।
চাঁদাবাজি ও ভাঙচুর সম্পর্কে কথিত এডভোকেট রাসেল জানান,আমি বিগত এক দেড় বছর ধরে মনির কাকার বাড়িতে যাই না।আমার নামে মিথ্যা বানোয়াট ষড়যন্ত্র মূলক মামলাটি করেছে।
উল্লেখ্য এই মামলার প্রধান আসামি এনামুল হক অত্র বিদ্যালয়ের সভাপতি থাকা অবস্থায় বিদ্যালয়ের জন্য দানপত্র করা জায়গা নিজের নামে করা সহ জায়গা আত্মসাৎ করে আসায় একাধিক অভিযোগ হয়েছে এবিষয়ে।