দোকানের মালামাল কিনতে গিয়ে হামলার স্বীকার আল আমিন

ব্রাহ্মণবাড়িয়ার নবীনগরে প্রকাশ্যে বোন জামাইকে পিটিয়ে হাসপাতালে পাঠিয়েছে শ্যালক। খবর পেয়ে আহত ছেলেকে দেখতে এসে নিজেও হামলার শিকার হয়েছেন জয়নাল আবেদিন নামে আনুমানিক পঞ্চান্ন বছরের এক ব্যক্তি।
গত শুক্রবার নবীনগর পৌর শহরের লঞ্চঘাট ও উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সের সামনের রাস্তায় কয়েকঘন্টার ব্যাবধানে মারধরের ঘটনা ঘটলে বিষয়টি নিয়ে ব্যবসায়ী মহল ও সাধারণ জনগনের মাঝে দেখা দিয়েছে উৎকন্ঠা!
উপজেলার হুরুয়া গ্রামের বাসিন্দা জয়নাল আবেদিন জানান, গত বছর চিত্রি গ্রামের ইরন মিয়ার মেয়ে নয়ন তারার সাথে তার ছেলে আলামিন বিবাহ বন্ধনে আবদ্ধ হন। বিয়ের কয়েকমাস ভালো চললেও চার পাঁচ মাস আগে তাদের মাঝে মনমালিন্য দেখা দিলে নয়নতারা বাবার বাড়িতে চলে আসে। সেই থেকে আলামিনের সাথে শশুরবাড়ির লোকজনের সম্পর্ক ভালো যাচ্ছিলো না। এরই রেশ ধরে শুক্রবার সকালে নয়নতারার ভাই রুহুল আমিন ও বোন আমেনা বেগম আরো কয়েকজনকে সাথে নিয়ে লঞ্চঘাট সংলগ্ন গাউছিয়া হোটেলের সামনে আলামিনকে পেটাতে থাকে। পরে স্থানীয়রা আলামিনকে উদ্ধার করে হাসপাতালে নিয়ে আসে। ঘটনাটি শুনে তিনি দ্রুত হাসপাতালে ছুটে আসেন। হাসপাতাল থেকে ছেলেকে নিয়ে বেরুতেই আবারো তাদের উপর অতর্কিত হামলা চালায় নয়নতারার ভাই ও বোন। ঘটনার সময় প্রত্যক্ষদর্শীর ধারণকৃত ভিডিও ফুটেজে দেখা যায়, অমানবিক ভাবে বয়স্ক ব্যক্ত উপর চড়াও এক উঠতি যুবক। ধাক্কা দিয়ে ড্রেনের উপর ফেলেও ক্ষান্ত না হয়ে জুতা দিয়ে বেধড়ক মারতে থাকে।
জয়নাল আবেদিন দু:খ করে বলেন, বিষয়টি নিয়ে দুইদিন পর সালিশ হবার কথা ছিলো। সালিশের আগেই এমন ঘটনা ঘটবে তিনি কল্পনাও করেননি।
হাসপাতালে চিকিৎসা নেয়া অবস্থায় আলামিনের সাথে কথা হলে সে জানায়, দোকানের জন্য মাল কিনতে নবীনগরে এসেছিল। মাথা ফাটিয়ে কাপড় ছিড়েও ক্ষান্ত হননি তারা, পকেটে থাকা টাকাও ছিনিয়ে নিয়েছে।
এদিকে একইদিনে দুটো ঘটনার ভিডিও ফেসবুকে পোস্ট হলে সবাই দু:খ প্রকাশ করেন।
বিষয়টিকে উদ্বেগের উল্লেখ করে লঞ্চঘাটের কয়েকজন ব্যবসায়ী জানান, যে কোন ঘটনায় সুষ্ঠ সমাধানের পথ রয়েছে। আমরা সেপথে না গিয়ে নিজেরাই মারমুখী হয়ে অপরাধে জড়িয়ে যাচ্ছি। অনেক সময় তুচ্ছ বিষয় থেকে প্রাণহানির মত ঘটনা ঘটে। হাটবাজারে এমন মারধরের ঘটনা ঘটলে ব্যবসায়ীদের মাঝে এর প্রভাব পড়তে পারে। এতে করে আমরা কতটুকু নিরাপদ থাকতে পারবো এমন প্রশ্ন কিন্তু ফেলা যায়না।
নবীনগর থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) মাহাবুব আলম জানান, আমি ঘটনাটি শুনেছি। ইতোমধ্যে একটা লিখিত অভিযোগও পেয়েছি। তদন্ত সাপেক্ষে আইনআনুক ব্যবস্থা গ্রহণ করা হবে।