নবীনগর

নবীনগরের ইব্রাহিমপুরে সরকারী জায়গার দখল নিয়ে সংঘর্ষে আহত ৫

মোঃ বাবুল:

ব্রাহ্মণবাড়িয়া নবীনগরের ইব্রাহিমপুরে দীর্ঘদিনের জমিজমা বিরোধের জের ধরে মহসিন মিয়া ও তার প্রতিবেশী শওকত আলীর মধ্যে মামলা হামলা চল আসতেছিল।গতকাল (১৩/০৫) উভয়ের মধ্যে সড়ক ও জনপদের অধিগ্রহণকৃত জায়গার দখল নিয়ে সংঘর্ষ হলে ৫ জন আহত হয়।

সরজমিনে গিয়ে জানা যায়, নবীনগর টু কোম্পানিগঞ্জ সড়কে ইব্রাহিমপুর গ্রামের বাঁশবাজার সংলগ্ন ২৭৪০ দাগের বাড়ি ২২ শতকের অন্দরে ১.৫ শতাংশ জায়গা সরকার সড়ক ও জনপদের জন্য অধিগ্রহণ করেন। উক্ত জায়গাটি দীর্ঘদিন ধরে মহসিন মিয়া দখল করে আসতেছিল,জায়গাটির দখল সংক্রান্ত বিরোধে মহসিন মিয়া ও শওকত আলীর মধ্যে ইতিপূর্বে সংঘর্ষ হলে মহসিন মিয়া বাদী হয়ে বিগত ১১/০৬/২০১৯ ইং তারিখে নবীনগর থানায় অভিযোগ দায়ের করেন। ঐ অভিযোগের ভিত্তিতে আইনশৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনীর লোকজন এসে এলাকায় শান্তি শৃঙ্খলা বজায় রাখার জন্য উভয়কে সড়ক ও জনপদের জায়গা দখল থেকে বিরত থাকার পরামর্শ দিয়ে বিষয়টি মিমাংসা করেন। কিন্তু গতকাল পূনরায় শওকত আলী উক্ত জায়গায় বালু ফেলে দখল করতে গেলে মহসিন মিয়ার ছেলে কামরুল বাঁধা দেয়।এতে করে উভয় পক্ষ সংঘর্ষ জড়িয়ে পড়লে ৫ জন আহত হয়, আহতরা নবীনগর সরকারী স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে চিৎকিসা নেন।চিৎকিসা শেষে মহসিন মিয়া বাদী হয়ে গতকাল পূনরায় নবীনগর থানায় ৪ জনকে আসামি করে অভিযোগ দায়ের করেন।

এই বিষয়ে একাধিক প্রত্যোক্ষদর্শী জানান, সরকারী জায়গা দখল নিয়ে শওকত আলী তার ছেলেদের নিয়ে মহসিন মিয়ার পরিবারের উপর হঠাৎ আতর্কিত হামকা শুরু করে দিলে ঘটনাস্থলে পুলিশ এসে পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে নিয়ে আসেন। ঝগড়া ফেরাতে আসা গ্রাম পুলিশ সামাদ উল্লাহও শওকত আলীর ছেলে রুবেলের হাতে আঘাত প্রাপ্ত হন।

এবিষয়ে নবীনগর থানায় অভিযোগ দায়ের করা মামলার বাদী মহসিন মিয়া বলেন, আমাদের দখলে থাকা সওজের অধিগ্রহণকৃত জায়গা জোরপূর্বক ভাবে শওকত আলী দখল করতে চাইলে আমার ছেলে কামরুল বাঁধা দেয়। এতে শওকত ও তার তিন ছেলে রুবেল,রাজিব,সজিব আমার ছেলেকে মারতে থাকলে আমরা স্বপরিবারে ফেরাতে গেলে আমাদেরকেও মারধর করে আহত করেন।আমরা সরকারী হাসপাতালে চিকিৎসা শেষে নবীনগর থানা অভিযোগ দায়ের করেছি,সরকারের কাছে আমরা ন্যায় বিচার চায়।

গতকালের সংঘর্ষের বিষয়ে জানতে চেয়ে শওকত আলীকে প্রশ্ন করা হলে, সরকারের অধিগ্রহণকৃত জায়গা কেন ইতিপূর্বে থানা পুলিশ নিষেধ করা সত্বেও পূনরায় দখল করতে গেলেন? তিনি উত্তরে বলেন, এটা সত্য নবীনগর থানার পুলিশ আমাদের নিষেধ করে গেছেন, কিন্তু গতকাল বৃষ্টি হওয়ায় বৃষ্টির পানি আমার বিল্ডিং এ প্রবেশ করার ভয়ে আমি বালু ফেলতে গিয়ে ছিলাম কিন্তু তারা গালাগালি করায় উভয়ের মধ্যে কথাকাটি হয়েছে, কোন মারামারি হয় নাই।

মহসিন মিয়ার করা অভিযোগের বিষয়টি নিশ্চিত করতে নবীনগর থানার অফিসার ইনচার্জ আমিনুল রশিদ কে জিজ্ঞাসা করা হলে তিনি জানান,আমরা অভিযোগ পেয়েছি তদন্ত সাপেক্ষে আইনগত ব্যবস্থা গ্রহণ করা হবে।

Back to top button