নবীনগরে আগুনে পুড়ে অটো রাইস মিলের কোটি টাকা ক্ষয়ক্ষতি।


নিজস্ব প্রতিবেদকঃ
ব্রাহ্মণবাড়িয়ার নবীনগরে ভয়াবহ অগ্নিকাণ্ডের ঘটনায় চালের মিল ও গুদামঘর পুড়ে ছাঁই হয়ে গেছে। এতে ক্ষয়ক্ষতির পরিমাণ কোটি টাকার উপরে বলে জানিয়েছেন ক্ষতিগ্রস্ত মিল মালিক আলমগীর মিয়া।
সোমবার (৯ জানুয়ারি) রাত আনুমানিক ১টার দিকে পৌর এলাকার ভোলাচং পুরান বাজারের একতা অটো রাইস মিলে এ ঘটনা ঘটলে দেড় ঘন্টার ব্যবধানে মুহুর্তেই ছাই হয়ে যায় গুদামঘরসহ মিলের সব আসবাবপত্র। আগুনে গুদামঘরে থাকা প্রায় ৩০০ বস্তা ধান ও ৫০ বস্তা চাউল, ৫০ বস্তা কুঁড়া পুড়ে গোডাউনে পড়ে আছে।
রাতেই পৌর এলাকার নারায়নপুর থেকে ফায়ার সার্ভিসের কর্মীরা ঘটনাস্থলে গিয়ে ঘন্টাখানেকের প্রাণপণ চেষ্টায় আগুন নিয়ন্ত্রণে আনেন।
প্রত্যক্ষদর্শী ও মিল শ্রমিকদের কয়েকজন জানান, ফায়ারসার্ভিস কর্মীরা সময়মত না এলে আশপাশের বহু দোকান ক্ষতিগ্রস্ত হতো।
এই ঘটনায় মিল মালিকের পাশাপাশি অনিশ্চয়তা দেখা দিয়েছে ২০ শ্রমিকের পরিবারেও।
খবর পেয়ে নবীনগর পৌরসভার মেয়র অ্যাড. শিব শংকর দাস ঘটনাস্থালে ছুটে যান। এই ঘটনা দেখে তিনিসহ ঘটনাস্থলে ছুটে আসা উৎসুক জনতা সবাই বাকরুদ্ধ।
সোহাতা গ্রামের বাসিন্দা মিল মালিক আলমগীর মিয়া রাতেই ফোন পেয়ে মিলে ছুটে যান। গিয়ে দেখেন ধাঁও ধাঁও করে আগুন পুরো মিলে ছড়িয়ে পড়ছে। তাৎক্ষণিক স্থানীয়রা আগুন নেভাতে ছুটে এলেও আগুনের উত্তাপে কেউ কাছে পৌঁছাতে পারেনি। আলমগীর মিয়া কান্নাজড়িত কণ্ঠে জানান, ক্ষতির পরিমাণ এতো বেশি যে আমার জীবনের সব আশা ভরসা শেষ হয়ে গেছে।
পৌর মেয়র অ্যাড.শিব শংকর দাস জানান,ঘটনাটি দুঃখজনক। আলমগীর মিয়াকে তার মনোবল শক্ত রেখে এই পরিস্থিতি সামাল দেয়ার পরামর্শ দিয়েছি।