নবীনগরে ইউ/পি সদস্য কে ধর্ষন মামলায় ফাঁসানোর অভিযোগে ফুঁসে উঠেছে জনগণ।

মোঃ বাবুল,নিজস্ব প্রতিবেদকঃ
ব্রাহ্মণবাড়িয়া নবীনগরের লাউরফতেহপুর ইউনিয়নের ৫ নং ওয়াড সদস্য মুকবুল মিয়া কে রুমা আক্তার নামক এক মহিলা ধর্ষন মামলায় ফাঁসিয়ে জেল হাজতে পাঠানোর অভিযোগে ফুঁসে উঠেছে এলাকার সাধারণ জনগণ।
এলাকাবাসীর সূত্রে জানা যায়, গত ২৭ মে সন্ধ্যা ৬:৩০ মিনিটে উপজেলার লাউরফতেহপুর ইউনিয়নের টানচারা গ্রামের ঠিকানা, তারিখ ও সময় উল্লেখ্য করে প্রবাসী ইয়াসিন মিয়ার স্ত্রী সেজে একজন খারাপ প্রকৃতির মহিলা রুমা আক্তার ধর্ষনের নাটক সাজিয়ে একই গ্রামের ৬৫ বছর বয়সী মৃত সামছু মিয়ার ছেলে মোজাম্মেল মিয়া কে ৩৭ বছরের দেখিয়ে ১নং আসামি, মুদির দোকানি উম্মাদ আলীর ছেলে শুক্কুর মিয়া কে ২ নং আসামি ও ঐ ওয়াডের পরপর দুইবারের ওয়াড সদস্য ৪৫ বছর বয়সি মৃত ফুল মিয়ার ছেলে মকবুল মিয়াকে ৩৫ বছর দেখিয়ে প্রধান আসামি করে ১১ জুন নবীনগর থানা মামলা নং ৯ একটি গনধর্ষন মামলা দায়ের করেন। মামলায় ঘটনার দিন তাকে চিকিৎসার জন্য ব্রাহ্মণবাড়িয়া সদর হাসপাতালে নেয়ার কথা উল্লেখ্য থাকলেও চিকিৎসা স্লিপে পরের দিনের তারিখ ২৮ মে উল্লেখ্য রয়েছে। তাছাড়া সবচেয়ে বেশি চাঞ্চল্যের সৃষ্টি হয়েছে মামলার বাদিনী যাকে স্বামী দাবি করে টানচারা গ্রামের ঠিকানা ব্যবহার করেছে প্রকৃতপক্ষে ঐ গ্রামে এই নামের কেউ নেই।এবং বাদিনীর স্বামী প্রবাসে থাকার সুবাদে সরকরি ভাবে ঘর দেয়া গুচ্ছগ্রামের বাসিন্দা উল্লেখ্য করা হলেও প্রকৃতপক্ষে গুচ্ছগ্রামে বসবাসের কোন তথ্য পাওয়া যায়নি তার । সে তার স্বামীর বাড়িতে কুমিল্লা থাকার কথা স্বীকার করে।কিন্তু তার বোন জামাই সোহাগ মিয়া ও বোন তাসলিমার দেয়া তথ্য মতে তার স্বামীর বাড়ি চাঁদপুর আর বর্তমানে ঢাকার শনিরআখড়া থাকে।গত ১৬ জুন চট্টগ্রাম থেকে নবীনগর থানা পুলিশ তার দেয়া মামলায় ঐ ইউ/পি সদস্য কে গ্রেপ্তার করে আদালতে মাধ্যমে জেল হাজতে প্রেরন করে। এতে এলাকাবাসী ফুঁসে উঠেছে এবং রাজনৈতিক প্রতিহিংসার স্বীকার এই মিথ্যা মামলা থেকে তাদের অব্যাহতি দেয়ার দাবি তুলেছে লাউরফতেহপুর ইউ/পির অপর এক সদস্য মামুন সরকার চাঁনমনি,সাবেক ইউ/পি সদস্য মাহবুবুর রহমান ও গুচ্ছগ্রামের বাসিন্দা জাকির হোসেন,লিমা আক্তার,ফরিদা বেগম,জিল্লুর রহমান সহ কয়েক শতাধিক সাধারণ মানুষ।তাছাড়া মামলার স্বাক্ষী নূর মোহাম্মদ ও সুরিয়া বেগম ঘটনা সম্পর্কে কিছুই জানে মর্মে তাদের কে কেন মিথ্যা স্বাক্ষী বানানো হয়েছে তার বিচার দাবি করেছে।
মামলাটি আদালতের নির্দেশে রুজু করার কথা জানিয়েছে নবীনগর থানা অফিসার ইনচার্জ সাইফুদ্দিন আনোয়ার।