নবীনগরে থেমে নেই মাদক বেচা-কেনা।

নিজস্ব প্রতিবেদকঃ
ব্রাহ্মণবাড়িয়ার নবীনগর উপজেলায় থেমে নেই মাদক বেচাকেনা, এখন হাতবাড়ালেই পাওয়া যাচ্ছে মাদক। উপজেলার বিভিন্ন এলাকায় প্রকাশ্যে বিক্রয় হচ্ছে
ইয়াবা, গাঁজা, ফেন্সিডিল ও দেশিয় চোলাইমদ, কিন্তু এসব দেখার
কেউ নেই!
উপজেলার বিভিন্ন এলাকায় সরজমিনে গিয়ে দেখা যায়, মাদক
ব্যাবসায়ীদের বাড়ি বাড়ি দোকান সাজিয়ে মাদকের রমরমা ব্যবসা
করছেন। এলাকায় অনেকে সকালে মাদক বিরোধী প্রচারনা চালিয়ে
রাতে নিজেই মাদক বেচাকেনা ও সেবন করছেন।
গতকাল আজ ৮ই নভেম্বর সন্ধ্যায় নবীনগর পৌর এলাকার ভোলাচং ঋষি
পাড়ায় গিয়ে দেখা যায়, এলাকার বাছির মিয়া, কমল ঋষি, মদন ঋষি,
শিপন,রতন, সতন,ভুবন ঋষি,অমর চাঁন,জুতি ঋষি সহ আরো
অনেকই তাদের নিজ নিজ বাড়িতে প্রকাশ্যে মাদক বিক্রয় করছেন।
এলাকাটির মোরে মোরে ঝাক বেধে দেশিয় চোলাইমদ পান করছেন
অনেকেই।কেউ কেউ একটু দূরে দাড়িয়ে ইয়াবা ও গাজাঁ সেবন
করছেন।দৃশ্যটি দেখলে মনে হবে মাদকে ভাসছে এলাকাটি।
খোজ নিয়ে জানা যায়, মাদক বিক্রির অপরাধে এসব মাদক
ব্যাবসায়ীরা অসংখ্য বাড় জেল হাজতে গিয়েছেন। এখন আর জেল-
হাজতে তাদের আর ভয় লাগেনা।
মাদক বিক্রয়ের বিষয়ে এলাকার বেশ কয়েকজন মাদক ব্যাবসায়ী
পরিবারের সাথে কথা বললে তারা জানান,মাদকের বিষয়ে প্রশাসন জানেন। যারা মাদক সেবন করেন তারা তাদের মাদক সেবনের টাকা রোজগার করতে মাদক বিক্রয় করেন।নাম প্রকাশে অনিচ্ছুক একজন
জানান, এলাকার অনেক প্রবাভশালিরা এই মাদক ব্যাবসার সাথে জড়িত। তারা অনেকেই উচ্চ লাভের আশায় মাদক ব্যাবসায়ীদের মাদক
বেচা কেনার করার জন্য পুজি দিয়ে থাকেন।এছাড়াও মাদক
বেচাকেনা করতে গিয়ে জেল হাজতে গেলে তাদের ছাড়িয়ে আনতেও সহায়তা করেন একটি মহল।স্থানীয় কাউন্সিলর যদুনাথ ঋষি বলেন,যারা মাদক বেচাকেনা করেন তারে নামের তালিকা করে বহুবার থানায় দেওয়া হয়েছে।কিন্তু তাতেও মাদক কমেনা এলাকায়।
এ বিষয়ে নবীনগর থানা সার্কেলের অতিরিক্ত পুলিশ সুপার মো. সিরাজুল ইসলাম বলেন, মাদকের বিষয়ে আমরা সবসময়ই কঠিন অবস্থানে আছি।আমাদেরকে মাদকের বিষয়ে তথ্য দিয়ে সহায়তা
করুন এবং মাদকের বিষয়ে আমরা কোন প্রকার ছাড় দিবো না।