Uncategorized

নবীনগরে দশম শ্রেণির ছাত্রীকে হৃদয় মিষ্টান্ন ভাণ্ডারের গোডাউনে নিয়ে ধর্ষন।

নিজস্ব প্রতিবেদকঃ

ব্রাহ্মণবাড়িয়া নবীনগরে শ্যামগ্রাম ইউনিয়নের দশম শ্রেনীর এক ছাত্রীকে হৃদয় মিষ্টান্ন ভাণ্ডারের গোডাউনে নিয়ে ধর্ষণের অভিযোগ উঠেছে বিবাহিত এক বখাটে শবজি বিক্রেতার বিরুদ্ধে ।ধর্ষিতা শ্যামগ্রাম মোহিনী কিশোর স্কুল এন্ড কলেজের ১০ শ্রেনীর ছাত্রী। ধর্ষক উপজেলার শ্যামগ্রাম ইউনিয়নের কুড়িনাল গ্রামের শিশু মিয়ার ছেলে মোঃ শামিম মিয়া। এ ঘটনায় ধর্ষিতার মা নবীনগর থানায় একটি অভিযোগ দায়ের করতে থানায় গেলে নবীনগর থানার অফিসার ইনচার্জ অফিসিয়াল কাজে ব্রাহ্মণবাড়িয়া থাকায় অভিযোগটি কম্পিউটারে টাইপ শেষে প্রিন্ট করে স্বাক্ষর দিয়ে থানা রেখে চলে আসার পর থেকে ধর্ষনে সহযোগী হৃদয় মিষ্টান্ন ভাণ্ডারের মালিক মিঠু সরকার কে আসামি না করতে নানা ধরনের চাপ আসতে থাকায় পূনরায় ধর্ষক শামীম মিয়ার সহযোগী হিসেবে মিঠু চন্দ্র সরকার কে আসামি করে থানায় অভিযোগ দিবে বলে জানায় ধর্ষিতার মা।১৭ই জুলাই রবিবার ধর্ষিতার মা সাংবাদিকদের কাছে ঘটনার বর্ননা তুলে ধরে ধর্ষক ও ধর্ষকের সহযোগীকে দ্রুত গ্রেফতার ও দৃষ্টান্তমূলক শাস্তির দাবী জানিয়েছেন।

সরজমিনে গিয়ে জানা যায়,ধর্ষক শামিম শ্যামগ্রাম বাজারে একজন সবজি ব্যবসায়ী ইতিপূর্বে সে এমন আরো ঘটনা ঘটিয়েছে এমনকি নাম প্রকাশ্যে অনিচ্ছুক একাধিক ব্যক্তি জানায় হৃদয় মিষ্টান্ন ভাণ্ডারের গোডাউনে প্রায়ই এমন সব ঘটনা ঘটার কথা শুনে থাকে তারা।গত ৭ জুলাই ভোর ৬ টায় প্রাইভেট পড়তে যাওয়ার সময় জরুরী কথা আছে বলে দশম শ্রেণিতে পড়ুয়া ঐ ছাত্রীকে পূর্ব থেকে খোলে রাখা হৃদয় মিষ্টান্ন ভাণ্ডারের গোডাউনে নিয়ে জোরপূর্বক ধর্ষণ করে। ধর্ষণ শেষে এ ঘটনা কাউকে জানালে তার বড় ধরণের ক্ষতি হবে বলে হুমকি দিয়ে বাড়িতে পাঠিয়ে দেয়ায় সময় বাজারের ঝাড়ুদার মহিলা দেখে ফেলেন।

এবিষয়ে নাম প্রকাশে অনিচ্ছুক শ্যামগ্রাম বাজারের ঝাড়ুদার মহিলা জানান,সকালে ঝাড়ু দেয়া শেষে হৃদয় মিষ্টান্ন ভাণ্ডারের গোডাউন থেকে একটি মেয়ে ও সবজি বিক্রেতা শামীম কে বের হতে দেখে আমি এগিয়ে গিয়ে দেখতে পায় মেয়েটার পরনের সেলুয়ার ভিজা এবং মেয়েটি কাঁপতেছে,আমি তাদের জিজ্ঞাসা করলে সবজি বিক্রেতা শামীম মেয়েটিকে ধর্ষন করেছে স্বীকার করেন, আমরা ধর্ষন করা স্থানে গিয়ে রক্ত দেখতে পায়। পরে মেয়েটাকে সবিজ বিক্রেতা অটোতে করে বাড়িতে পাঠিয়ে দেয়।

ঘটনার বিষয়ে ধর্ষিতার মা বলেন,সবজি বিক্রেতা শামীম ও তার বাবা আমাদের নানান ধরনের ভয়ভীতি প্রদর্শন করায় আমরা থানায় অভিযোগ করতে সাহসী পায়নি আমার মেয়ে এঘটনার পর থেকে অসুস্থ হয়ে পড়ায় নিরুপায় হয়ে আমি গ্রামের সাহেব সর্দারদের জানিয়ে রাতেই থানায় অভিযোগ করতে গেলে ওসি সাহেব অফিসিয়াল কাজে ব্রাহ্মণবাড়িয়া যাওয়ায় অভিযোগটি কম্পিউটারে টাইপ শেষে প্রিন্ট করে থানায় রেখে চলে আসি। আমার মেয়েকে হৃদয় মিষ্টান্ন ভাণ্ডারের গোডাউনে নিয়ে যেতে মিষ্টান্ন ভাণ্ডারের মালিক মিঠু চন্দ্র সরকার তালা খোলে দিয়েছে,আমার মেয়ে এত চিৎকার করার পরও মিঠু তাকে বাঁচতে যায়নি,আমি ধর্ষক ও তার সহযোগীর কঠোর শাস্তি দাবি করছি।শুধু তাই নয় ধর্ষকের পিতাও আমাকে হুমকি ধামকি দিয়েছে আমি তারও শাস্তি চাই, আজ আমি নবীনগর থানায় গিয়ে ৩ জনকে আসামি করে অভিযোগ দায়ের করব।

ধর্ষনের বিষয়ে স্থানীয় ওয়ার্ড মেম্বার রঞ্জন কুমার দেবনাথ জানান,আমাকে মেয়ের পক্ষ থেকে সার্বিক সহযোগী করতে বলায় আমি তাদের নিয়ে থানায় গিয়েছি ওসি সাহেব অফিসিয়াল কাজে ব্রাহ্মণবাড়িয়া থাকায় মামলাটি রুজু হয়নি আজ আমরা পূনরায় থানায় যাব অভিযোগ দায়ের করতে যাওয়ার পথে মেয়েটি অসুস্থ হয়ে পড়লে তার উন্নত চিকিৎসার জন্য তাকে তার মা সহ জেলা সদরে পাঠানো হয়।একটু সুস্থ হলেই আমরা অভিযোগটি নতুনভাবে দায়ের করব।

Back to top button