Uncategorized

নবীনগরে বাড়িঘর ভাঙচুর ও লুটপাটের ঘটনায় স্বামী-স্ত্রী আটক।

নিজস্ব প্রতিবেদকঃ

ব্রাহ্মণবাড়িয়া নবীনগরের পৌর এলাকার ০৭ নং ওয়ার্ডের নারায়ণপুরে জায়গা সংক্রান্তের বিরোধের জেরে বসত বাড়িতে লুটপাট ও মারধরের ঘটনায় পুলিশ ২ জনকে আটক করেছে।

তথ্য সূত্র জানা যায়, দীর্ঘদিন ধরে মতিউর রহমান ও তার প্রতিবেশী প্রবাসী মন্তাজ উদ্দিনের পরিবারের মধ্যে টাকা পয়সা লেনদেন ও জায়গা সংক্রান্ত বিষয়ে বিরোধ চলে আসছে।এবিষয়ে ইতিপূর্বে উভয়ের মধ্যে মামলা মোকদ্দমা চলমান থাকাবস্থায় ১১ মে সোমবার সকালে মন্তাজ উদ্দিন ও তার স্ত্রী সোহানা আক্তার ৩০/৪০ জন সহ দেশীয় অস্ত্র নিয়ে মতিউর রহমানের বসত ঘর সহ মুরগির খামারে ভাংচুর করিয়া ৮/১০ লক্ষ টাকার মালামালের ক্ষতি সাধন করে।এবং মতিউর রহমানের ছেলে খায়রুল হাসান কে মারধর করে ১২ লক্ষ ৮৪ হাজার টাকার মালামাল লুটপাট করে নিয়ে যাওয়ার সময় খবর পেয়ে ঘটনাস্থলে পুলিশ পৌঁছে পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে নিয়ে আসে।এবিষয়ে মতিউর রহমান বাদী হয়ে ১৪৩/১৪৪/৪৪৮/৩২৩/৩০৭/৪২৭/৩৮০/৩৭৯/৫০৬(২)পেনাল কোড-১৮৬০ ধারায় নামিয় আসামি ১৭ জন সহ অজ্ঞাতনামা ২০/৩০ জনকে আসামি করে নবীনগর থানায় ০৮ নং অভিযোগ দায়ের করলে মন্তাজ উদ্দিন ও তার স্ত্রী সোহানা আক্তার কে গ্রেফতার করে ১২ মে মঙ্গলবার সকালে বিজ্ঞ আদালতে সোর্পোদ করেন।

ঘটনার সময় উপস্থিত থাকা একধিক প্রত্যেক্ষদর্শী জানান,হঠাৎ কোন কিছু বুজে উঠার আগেই ভাংচুরের শব্দ শুনে আমরা উপস্থিত হয়ে দেখি ভাংচুর হচ্ছে পুলিশ এসে পরিস্থিতি স্বাভাবিক করে।

এবিষয়ে মামলার বাদী মতিউর রহমান জানান,সোমবার সকালে হঠাৎ ৩০/৪০ জনের একটি সংঘবদ্ধ দল মন্তাজ উদ্দিন ও সোহানা আক্তারের নেতৃত্বে আমার বসত বাড়ি ও মুরগির খামার সহ আমাদের উপর আক্রমণ করে সবকিছু ভাংচুর লোটপাট করে নিয়ে যায়। এমনকি আমার ঘরে থাকা জরুরি স্ট্যাম্প ও দলিলপত্র ও নিয়ে যায়।আমি অসহায় মানুষ ন্যায় বিচারের জন্য নবীনগর থানায় মামলা করেছি।

মামলার বিষয়ে নবীনগর থানার অফিসার ইনচার্জ আমিনুর রশিদ জানান,ভাংচুর ও লুটপাটের খবর পেয়ে ঘটনাস্থলে আমি নিজে পুলিশ ফোর্স নিয়ে গিয়ে পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে নিয়ে আসি এবং বাদীর অভিযোগের ভিত্তিতে ২ জনকে গ্রেফতার করে বিজ্ঞ আদালতে প্রেরণ করেছি।

Back to top button