নবীনগরে মুক্তিযোদ্ধার বাড়ি দখলের চেষ্ঠার হামলা ভাংচুর লুটপাটের ঘটনায় গ্রেফতার এক।

মোঃ বাবুল,নিজস্ব প্রতিবেদকঃ
ব্রাহ্মণবাড়িয়ার নবীনগর উপজেলার কৃষ্ণনগর ইউনিয়নের দক্ষিন লক্ষিপুর গ্রামে বীর মুক্তিযোদ্ধা সেনাবাহিনীর অবসরপ্রাপ্ত সার্জেন্ট আবদুল কুদ্দুস মিয়ার বাড়ি দখলের চেষ্ঠায় তাদের উচ্ছেদ করতে প্রতিপক্ষরা দেশীয় অস্ত্র সস্ত্র নিয়ে হামলা চালিয়ে বাড়িঘর ভাংচুর লুটপাট চালায়। এ ঘটনায় থানায় লিখিত অভিযোগ দায়ের করা হলে কোন আইনগত ব্যবস্থা নেয়নি পুলিশ। গতকাল রবিবার(২৩/৭)নির্যাতিত ওই অসহায় মুক্তিযোদ্ধা এক সংবাদ সম্মেলনে নবীনগর থানা পুলিশে বিরুদ্ধে এ অভিযোগ করে উর্ধতন কর্তৃপক্ষের নিকট তার নিরাপত্তা নিশ্চিত করে ও তার জায়গা সম্পত্তি বাড়ি ঘর রক্ষাসহ ন্যায় বিচার প্রার্থনা করে।পরোক্ষণে বিষয়টি সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে ভাইরাল হলে এই ঘটনায় জড়িত একই গ্রামের আবুল হোসেনের ছেলে মিরাজুল ইসলাম(১৯) কে গ্রেফতার করে নবীনগর থানা পুলিশ।
সুত্র জানায়,জমি সংক্রান্ত বিরোধের জের ধরে গত ১৯ জুলাই এলাকার প্রভাবশালী মৃত মাঞ্জু মিয়ার ছেলে আবুল হোসেন,আমজাদ হোসেন, আবুল হোসেনের ছেলে আবদুল্লা মিয়া ও ওবায়দুল মিয়া সংবদ্ধ হয়ে এ হামলা চালায়। হামলার বাড়ি ঘর ভাংচুরের প্রায় ৩ টাকার ক্ষতি ও নগদ টাকা স্বর্নাংকারসহ প্রায় ৫ লাখ টাকার মালামাল লুট পাট করে নিয়ে যায়। লিখিত বক্তব্যে মুক্তিযোদ্ধা জানান,চাকরী করার সুবাদে গ্রামে না থাকায় আমার ৫০ শতাংশ জায়গার মধ্যে ২০ শতাংশ জায়গা উক্ত ব্যক্তিরা জবরদখল করে রেখেছিল। উক্ত সম্পত্তি ফিরে পেতে দীর্ঘ ১০ বছর আদালতে মামলা চালিয়ে তিনি রায় পেয়েছেন। আদালতের রায়ের প্রেক্ষিতে তৎকালিন সহকারি কমিশনার(ভূমি) মোশারফ হোসেন উক্ত সম্পত্তির দখল তাকে বুঝিয়ে দেন। কিন্তু ওই প্রতিপক্ষরার থেমে থাকেনি আমার পরিবার সহ আমকে উচ্ছেদের জন্য প্রায়ই নানাহ কৌশলে অত্যাচারসহ হামলা চালাতো সর্বশেষ গত ১৯ তারিখে বাড়ির নির্মান কাজ করার সময় এ হামলা চালায়। সাথে সাথে নবীনগর থানায় অভিযোগ দায়ের করি কিন্তু গত পাচঁদিন হয়ে গেল পুলিশ কোন ব্যবস্থাই গ্রহন করেনি। তিনি ও তার পরিবার এখন নিরাপত্তাহীনতায় ভোগছেন।
এ ব্যাপারে অভিযুক্ত আবুল হোসেন উক্ত জায়গা নিজস্ব সম্পত্তি দাবী করে বলেন,আমরা হামলা করিনি সে আমাদের জায়গা দখল করে বেড়া দিয়েছিল আমরা সেই বেড়া তুলে ফেলেছি। বিষয়টি গ্রামের সাহেব সর্দারা জানে। মিমাংসার আলোচনা চলছে।
এ ব্যাপারে নবীনগর থানার অফিসার ইনচার্জ মাহবুবুল আলম জানান ,ব্যবস্থা গ্রহন করিনি এটা সঠিক নয়,একজনকে গ্রেফতার করা হয়েছে,অভিযোগ পাওয়ার পর আমার অফিসার ঘটনাস্থল পরিদর্শন করে।পুলিশের খবর পেয়ে আসামীরা পালিয়ে যায়।সেই সময় স্থানীয় নেতৃবৃন্দ বিষয়টি মিমাংসার প্রস্তাব রাখে।যদি মিমাংসা হয় ভাল না হলে আমরা আইনগত যে ব্যবস্থা নেওযার সেটা নেব।