নবীনগরে রাফি হত্যার বিচার দাবিতে শিক্ষার্থী ও এলাকাবাসীর মানব বন্ধন, বিক্ষোভ মিছিল


ন
ব্রাহ্মণবাড়িয়া নবীনগরে আরিফুল ইসলাম(রাফি ভূঈয়া) হত্যাকারীদের গ্রেফতার ও শাস্তির দাবিতে মানববন্ধন ও বিক্ষোভ মিছিল করেছে নিহতের পরিবার,ব্যারিষ্টার জাকির আহাম্মদ কলেজের শিক্ষার্থী ও গ্রামবাসী। বৃহস্পতিবার(৩১মার্চ) সকালে উপজেলার লাউরফতেহপুর ইউনিয়নের বটতুলি বাসস্ট্যান্ড সংলগ্ন এলাকায় এই মানব বন্ধন অনুষ্ঠিত হয়।মানব বন্ধন শেষে আলোচনা সভায় বক্তব্য রাখেন লাউর ফতেহপুর ইউনিয়ন পরিষদের চেয়ারম্যান মোহাম্মদ জাহাঙ্গীর আলম,লাউর ফতেহপুর আর এন টি বালিকা উচ্চ বিদ্যালয়ের প্রধান শিক্ষক আল-আমিন খান,ব্যারিষ্টার জাকির আহাম্মদ কলেজের প্রভাষক আব্দুল মান্নান,সিনিয়র শিক্ষক রিপন খান,মাদক মুক্ত নবীনগর চাই সংগঠনের সাংগঠনিক সম্পাদক ওয়াহেদুজ্জামান দিপু।মানব বন্ধনে অংশ নেন শিক্ষক,ছাত্র,সাংবাদিক,জনপ্রতিনিধি,পরিবারের সদস্যরাসহ এলাকার সর্বস্থরের সাধারণ মানুষ মানবন্ধন শেষে এলাকাসী রাফি ভূইয়া’র হত্যাকারীদের দ্রুত গ্রেফতার করে আইনের আওতায় এনে শাস্তি কার্যকর করার দাবিতে বিক্ষোভ মিছিল করেন। মিছিলটি বটতুলি বাসস্ট্যান্ড থেকে শুরু হয়ে লাউর ফতেহপুর ইউনিয়নের বিভিন্ন গ্রাম দিয়ে ঘুরে পুণরায় আহাম্মদপুর সরকারী প্রাথমিক বিদ্যালয় মাঠে গিয়ে শেষ হয়।এর আগে ব্রাহ্মণবাড়িয়া জেলা পুলিশে কনস্টেবল পদে চাকুরির জন্য ঘর থেকে মা-বাবার দোয়া নিয়ে বের হয়েছিলেন রাফি ভূইয়া। বের হয়ে বাড়ির পাশেই একটি দোকানে গিয়ে ফ্লেক্সিলোড করছিলেন তিনি। এ সময় হঠাৎ ধর ধর শব্দ শুনে দোকান থেকে বের হয়েছিলেন। তখন দেখতে পান এক যুবক ছুরি নিয়ে দৌড়ঝাঁপ করছে। তখন সে ওই যুবকের গতিরোধ করে হাতে ছুরি থাকার কারণ জানতে চান। কোনোকিছু বুঝে ওঠার আগেই প্রদীপ (২০) নামের ওই যুবক রাফি ভূইঁয়ার বুকে ছুরি দিয়ে আঘাত করে পালিয়ে যান।পরে রক্তাক্ত অবস্থায় দোকানের পাশেই হুমড়ি খেয়ে বসে যান রাফি। এ সময় আশপাশের মানুষ ও পরিবারের লোকজন এসে তাকে উদ্ধার করে নবীনগর উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে নিয়ে গেলে কর্তব্যরত চিকিৎসক তাকে মৃত ঘোষণা করেন। নিহত রাফি ভূইয়া ওই এলাকার নিয়ামুল ভূইয়ার ছেলে।রাফি ভূঁইয়া হত্যাকান্ডের ঘটনায় তাঁর বাবার করা মামলার প্রধান আসামী প্রদীপ (২০) কে ইতিমধ্যেই গ্রেফতার করেছে পুলিশ।মামলার অপর তিন আসামী এখনো অধরা। জেলা পুলিশের নবীনগর সার্কেলের অতিরিক্ত পুলিশ সুপার মো. সিরাজুল ইসলাম বলেন, প্রযুক্তি ব্যবহারের মাধ্যমে মূলহোতা প্রদীপকে গ্রেফতার করা হয়েছে। বাকি আসামিদের গ্রেফতারে আমাদের অভিযান চলছে। এর নেপথ্যে কেউ আছে কিনা সেটিও খতিয়ে দেখা হচ্ছে।