নবীনগরে শহীদ ক্যাপ্টেন শেখ কামালের জন্মবার্ষিকী উদযাপন…!

নিজস্বা প্রতিবেদকঃ
বাংলাদেশ আধুনিক ক্রীড়ার প্রবর্তক শহীদ ক্যাপ্টেন শেখ কামাল জাতির জনক বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবর রহমানের জৈষ্ঠ্য পুত্র, পাঁচ ভাই বোনের মধ্যে তিনি দ্বিতীয় ছিলেন।
তিনি ছিলেন বীর মুক্তিযোদ্ধা ও আবাহনী ক্রীড়াচক্রের প্রতিষ্ঠাতা। শেখ কামাল ১৯৪৯ সালে ৫ আগস্ট গোপালগঞ্জের টুঙ্গীপাড়া গ্রামে জন্মগ্রহণ করেন।
শহীদ ক্যাপ্টেন শেখ কামালের ৭২তম জন্মবার্ষিকী উপলক্ষে ব্রাহ্মণবাড়িয়া নবীনগরে ০৫/০৮/ বৃহস্পতিবার সকাল ১০ ঘটিকা সময় প্রতিকৃতিতে পুষ্পস্তবক অর্পণের মাধ্যমে এর কার্যক্রম সূচনা করেন।
পুষ্পস্তবক অর্পণ করেন উপজেলা প্রশাসন, উপজেলা পুলিশ, উপজেলা বীর মুক্তিযোদ্ধা,প্রাথমিক শিক্ষক সমিতি।
উপজেলা পরিষদ সম্মেলন কক্ষে স্মৃতিচারণ ও আলোচনা সভা অনুষ্ঠিত হয়।
উপজেলা নির্বাহি অফিসার জনাব একরামুল সিদ্দিকের সভাপতিত্বে উক্ত অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথি হিসেবে উপস্থিত থেকে বক্তব্য রাখেন উপজেলা পরিষদ চেয়ারম্যান জনাব মনিরুজ্জামান মনির।
পৌর মেয়র এডভোকেট শিব শংকর দাস,সহকারী কমিশনার (ভূমি) মোশারফ হোসাইন, উপজেলা আওয়ামী লীগের সহ-সভাপতি এডভোকেট সুজিত কুমার দেব, উপজেলা আওয়ামী লীগের যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক জহির উদ্দিন চৌধুরী শাহান, ওসি তদন্ত নুরে আলম, সাবেক ডেপুটি কমান্ডার বীর মুক্তিযুদ্ধা শামসুল আলম সরকার, দুর্নীতি প্রতিরোধ কমিটির সভাপতি আবু কামাল খন্দকার, উপজেলা আওয়ামী লীগের যুব ও ক্রীড়া বিষয়ক সম্পাদক নাসির উদ্দিন, নবীনগর পশ্চিম ইউপি চেয়ারম্যান ফিরোজ মিয়া, প্রাথমিক শিক্ষক সমিতির সভাপতি এটিএম রেজাউল করিম সবুজ, প্রেসক্লাব সভাপতি জালাল উদ্দিন মনির, যুবলীগ সভাপতি শামস আলম, নবীনগর মডেল প্রেসক্লাব সভাপতি আবু কাউসার, নবীনগর থানা প্রেসক্লাব সাংগঠনিক সম্পাদক আবুল হাসান জাহিদ ও বিভিন্ন ইলেকট্রিক ও প্রিন্ট মিডিয়ার সাংবাদিকবৃন্দ সহ উপজেলার বিভিন্ন সরকারি কর্মকর্তা-কর্মচারীবৃন্দ।
সেসময় বক্তারা শহীদ ক্যাপ্টেন কামালের স্মৃতিচারণ করে বলেন শেখ কামাল বাংলাদেশের মুক্তিযুদ্ধে তিনি মুক্তিবাহিনীর অন্যতম সংগঠক ছিলেন, যুদ্ধ চলাকালীন সময়ে তিনি মুহাম্মদ আতাউল গনি ওসমানীর এইড ডি ক্যাম্পের (এডিসি)হিসেবে কাজ করেন।১৯৭১ এর রণাঙ্গনে শেখ কামালের ভূমিকা ছিল অন্যতম।
উনার জন্ম এই আগস্ট মাসে এবং উনি এই আগস্ট মাসেই শহীদ হয়েছেন।
একদল বিপথগামী সেনা সদস্য বঙ্গবন্ধু ও তার পরিবারকে নির্মমভাবে হত্যা করেন! আজকে তার জন্মদিনে তাঁর বিদেহী আত্মার মাগফেরাত কামনা করছি।
রাষ্ট্রীয়ভাবে উক্ত দিনটি উদযাপন করার জন্য প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনাকে ধন্যবাদ জানান।
পরে সকল অতিথিবৃন্দ উপজেলা পরিষদ প্রাঙ্গনে বৃক্ষরোপণ করেন।