বাজার থেকে আইসে দেখি আমার ঘরে কোনো কিচ্ছুই নাই’

লোহাগড়া প্রতিনিধি:
নড়াইলের লোহাগড়া উপজেলায় আধিপত্য বিস্তারকে কেন্দ্র করে প্রতিপক্ষের দশটি বাড়িতে হামলা-ভাঙচুর ও লুটপাটের অভিযোগ উঠেছে।
উপজেলার সত্রহাজারি গ্রামে এই ঘটনা ঘটে বুধবার দুই এপ্রিল বিকেলে সরেজমিন ঘুরে দেখা যায়, উপজেলার সত্রহাজিরা গ্রামের অন্তত ১০টি বাড়ির বিভিন্ন দেয়াল ভাঙা, টিনের বেড়ায় কোপানোর দাগ ঘরের মধ্যে থাকা টিভি, ফ্রিজ, আলমারিসহ বিভিন্ন জিনিসপত্রের ভা ঙাচুর
ভুক্তভোগীরা অভিযোগ করে জানান, আধিপত্য বিস্তারকে কেন্দ্র করে নোয়াগ্রাম ইউনিয়নের ১ নম্বর ওয়ার্ডের (সত্রহাজারি) বর্তমান সদস্য সাঈদ মিনার সঙ্গে বিরোধ রয়েছে সাবেক সদস্য আক্তার কাজীর। প্রায়ই দু’পক্ষের মধ্যে ঝামেলা হয়। এরই ধারাবাহিকতায় গতকাল আক্তার কাজী তার লোকজন নিয়ে সাঈদ মিনা সমর্থক জলিল মোল্যা, মফিজুর মোল্যা, মান্নান মোল্যা, নজরুল মোল্যা, আবু তাহের মিনা, জব্বার মিনা, তারিকুল মিনা ও নাঈম মিনাসহ অন্তত ১০টি পরিবারের ঘরবাড়িতে হামলা চালিয়ে এ ভাঙচুর ও লুটপাট করেছে।
ভুক্তভোগীদের একজন জলিল মোল্যা তিনির কোনো কি চ্ছুই নাই। বাক্সের তালা খোলা, ভেতরে থাকা ৫১ হাজার টাকা নেই৷ ব্যবসা করে এই টাকা গুছাই ছিলাম একটা ঘর দেওয়ার জন্য। বউয়ের একটা চেইন আর কানের দুল ছিল, তাও নিয়ে গেছে। ঘরে থাকা টিভি, ফ্রিজসহ মালামাল ভাঙচুর করে রেখে গেছে।
মফিজুর মোল্যা নামে একজন জানান,আমি রাজনীতি করি না। শুধুমাত্র মিনা বংশের সঙ্গে আত্মীয়তা হওয়ায় আমার বাড়িতে ভাঙচুর করেছে কাজীরা। ঘরে থাকা ২১ হাজার নগদ টাকা, স্বর্ণালংকার এবং ৫ বস্তা ধনিয়া, ৫ বস্তা কলাই ও ১০ বস্তা ধান লুট করে নিয়ে গেছে৷ আমি খুব গরিব মানুষ, কামলা খেটে খায়। খায়ে না খায়ে এই মাল জিনিস বানাই ছিলাম।
এখন আমরা আতঙ্কের মধ্যে আছি, যে কোনো সময় আবারও হামলা হতে পারে। প্রশাসনের কাছে আমরা এর বিচার চাই।
তবে এসব অভিযোগ অস্বীকার করেছেন অভিযুক্ত আক্তার কাজী। মুঠো ফোনে তিনি জানান,, আমি এ ঘটনার সঙ্গে যুক্ত নাই আমি ও খানে (ঘটনাস্থলে) গিছিলাম না। ওরা যে অভিযোগ করছে, তা ভিত্তিহীন। তবে শুনেছি, বাড়িঘর ভাঙচুর হয়ছে এটা সত্য, কিন্তু আমার লোকেরা ভাঙচুর করেনি। কারা করেছে জানি না।
এ ব্যাপারে লোহাগড়া থান পুলিশের ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) মো. আশিকুর রহমান জানান, আধিপত্য নিয়ে ওই এলাকায় দুই ইউপি সদ্যসের দীর্ঘদিনের বিরোধ আছে। এর আগে দু’পক্ষের করা মামলা থানায় রযেছে। ঈদের দিনের ঘটনায় এখন পর্যন্ত কোনো অভিযোগ পায়নি। অভিযোগ পেলে তদন্ত করে আইনানুযায়ী ব্যবস্থা নেওয়া হবে।