আন্তর্জাতিক

বিদেশে চাকরি দেয়ার নামে গুলজার ওভারসীজের প্রতারণা।

নিজস্ব প্রতিবেদকঃরাজধানী টাকার ফকিরাপুল কালভার্ট রোডের গুলজার ওভারসীজের উজবেকিস্তানে চাকরি দেয়ার নামে প্রতারণা করে লক্ষ লক্ষ টাকা হাতিয়ে নেয়ার অভিযোগ উঠেছে।

তথ্য সূত্রে জানা যায়, গ্রামীণ সহজ সরল লোকদের কাছ থেকে সাড়ে পাঁচ লক্ষ টাকা করে নিয়ে উজবেকিস্তানে ভাল বেতনে চাকরি দেয়ার কথা বলে গুলজার ওভারসীজের মালিক গুলজার মিয়া লক্ষ লক্ষ টাকা হাতিয়ে নিচ্ছে। সে নরসিংদী জেলার হলেও দ্বিতীয় বিবাহ করার সুবাদে ভৈরব বসবাস করায় সেখানের পরিচয় বহন করে আসছে। বিগত মাসে বাদশা মিয়া,আপেল মাহমুদ, আলমগীর মিয়া সহ বেশ কয়েকজন কে উচ্চ বেতনে চাকরি দেয়ার কথা বলে উজবেকিস্তান পাঠিয়ে ঐখানে ভিসা মেয়াদ শেষ হওয়ার পর তাজিকিস্তানে পাঠায় এক বছর মেয়াদী ভিসা করে পুনরায় উজবেকিস্তানে সেট করার জন্য। কিন্তু তাজাকিস্তানে তাদের ভিসার মেয়াদ শেষ হলেও তাদের উজবেকিস্তানের ভিসা করতে ব্যর্থ হয় সে। পরে তাজাকিস্তানের ভিসার মেয়াদ শেষ হলে তাদের উজবেকিস্তানের ভিসা করে। কিন্তু তারা তাজাকিস্তান থেকে উজবেকিস্তান ঢুকার পথে ঔইবেক বর্ডারে মেয়াদোত্তীর্ণ ভিসা দেখে আটকে দেয় ইমিগ্রেশন পুলিশ।পরে কাউছার নামক একজন বাঙ্গালী তার নিজের পকেটের টাকা খরচ করে ৮ শত ডলার জরিমানা দিয়ে ঐসব লোকদের বর্ডার থেকে উদ্ধার করে উজবেকিস্তানে পাঠায়। গুলজার কাউছারের সেই টাকা দিতেও গড়িমসি করে।

এবিষয়ে আলমগীর মিয়া জানান,আমি সাড়ে পাঁচ লাখ টাকা দিয়ে গুলজারের মাধ্যমে বিদেশে এসেছি ভাল বেতনে চাকরি করতে। কিন্তু এখন চাকরিই পাইনি উল্টো হয়রানি হতে হচ্ছে। আমি আমার টাকা ফেরত পাওয়ার জন্য সরকারের নিকট আকুল আবেদন জানাই। এছাড়াও বাদশা,আপেল মাহমুদ সহ বাকীরা একই সমস্যার সম্মুখীন হয়েছে।
এবিষয়ে বাদশ, আপেল মাহমুদ সহ একাধিক ব্যক্তি জানান আমরা ভিসার মেয়াদ শেষ গুলজার আমাদের কোন খবর নেয় না,কোন কাজ নাই। আমরা আমাদের টাকা ফেরত সহ দেশে ফিরে যেতে চাই।

ঔইবেক বর্ডার থেকে জরিমানা দিয়ে গুলজারের লোকজন উদ্ধার করা কাউছার জানান,আমি অন্যের কাছ থেকে টাকা নিয়ে তার লোক উদ্ধার করলাম কিন্তু সে আমার টাকাও দিচ্ছে না।এমনকি আমি নিজেও ভুক্তভোগী।

এসকল বিষয়ে গুলজারের হোয়াটসঅ্যাপে জানতে চাইলে সে, গতকাল কাউছার যে টাকা দিয়ে তার লোকজন কে ছাড়িয়েছে তা আমি দিয়ে দিব বলে জানায়,বাকীদের বিষয়ে কোন কিছু বলতে চায়নি।

Back to top button