নবীনগর

ব্রা‏হ্মণবাড়িয়ার নবীনগরের মাদকসেবী ইউপি চেয়ারম্যান আসলাম মৃধার অপসারণ চান ওয়ার্ড মেম্বারগণ

মাসুম মির্জাঃ ব্রাহ্মণবাড়িয়ার নবীনগর উপজেলার ২১নং কাইতলা উত্তর ইউনিয়ন পরিষদের মাদক সেবনকারী চেয়ারম্যান এম আসলাম মৃধার অপসারণ চাচ্ছে ইউনিয়ন পরিষদের সকল ওয়ার্ড মেম্বারগণ।

ইউনিয়ন পরিষদে থাকা সংরক্ষিত ৩জন নারী মেম্বারসহ মোট ১২জন মেম্বারের অভিযোগ চেয়ারম্যান এম আসলাম মৃধার নানান অপকর্মের মধ্যে মাদক সেবন, পরিষদের নানান দুর্নীতি, নারী কেলেঙ্কারির ঘটনা ইতিমধ্যে সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে ব্যাপক আলোচনা-সমালোচনার ঝড় তুলেছে। একজন চেয়ারম্যান হয়ে তিনি এই ধরণের ন্যাক্কারজনক কর্মকান্ডে লিপ্ত থাকায় আমাদের পক্ষে উনার সাথে আর কাজ করা সম্ভব না। এছাড়াও তিনি বর্তমানে ইউনিয়ন পরিষদের কোন দায়িত্ব সঠিকভাবে পালন করছেন না। উনি উনার নিজস্ব দুনিয়া নিয়ে ব্যস্ত সময় পাড় করছেন। যার ফলে সাধারণ জনগণও ইউনিয়ন পরিষদের সার্বিক সেবা থেকে বঞ্চিত হয়ে ভোগান্তির শিকার হচ্ছেন। শুধু তাই না পরিষদের যে সকল প্রজেক্ট এর কাজ হচ্ছে, আমাদের অবহিত না করে সেসকল প্রজেক্ট গুলোর টাকাও নিজেই উত্তোলন করে ফেলছেন।

জানা যায়, ২০১৭ সালের জুলাই মাসের ১৩ তারিখ স্থানীয় সরকারের অধীনস্থ কাইতলা উত্তর ইউনিয়ন পরিষদ নির্বাচনে মো. আসলাম মৃধা চেয়ারম্যান নির্বাচিত হওয়ার পর থেকেই বিভিন্ন অপকর্মে লিপ্ত হতে থাকেন। এসকল কর্মকান্ডে ক্ষুব্ধ হয়ে সকল ওয়ার্ড মেম্বার স্থানীয় সাধারন জনগণকে সাথে নিয়ে তার অপসারণ ও অনাস্থা চেয়ে ইতোপূর্বে মানববন্ধনের পাশাপাশি গেল বছরের ১লা ডিসেম্বর নবীনগর উপজেলা নির্বাহী অফিসারের বরাবর এবং এবছরের ফেব্রæয়ারী মাসের ১৬ তারিখে ব্রা‏হ্মণবাড়িয়া জেলা প্রশাসক বরাবরেও আবেদন জানান। কিন্তু এখনো পর্যন্ত তার অপসারণ না হওয়ায় হতাশা সকল মেম্বারসহ স্থানীয়রা।

এ বিষয়ে অত্র ইউনিয়নের ২নং ওয়ার্ড মেম্বার ও প্যানেল চেয়ারম্যান মো. বাছির মোল্লা জানান, চেয়ারম্যান বর্তমানে পুরোপুরি নেশাগ্রস্থ হয়ে গেছে। ঠিকভাবে দায়িত্ব পালন করতে পারছে না, ফলে সাধারণ জনগণ খুবই ভোগান্তিতে আছে। আর আমরাও মুখ দেখাতে পারছি না। আমিসহ আমরা সবাই চাই দ্রæত এই চেয়ারম্যানকে অপসারণ করে ইউনিয়নবাসীকে ইউনিয়ন পরিষদের সার্বিক সেবা পেতে সহযোগিতা করা হউক।

এদিকে বিগত দিনে চেয়ারম্যান আসলাম মৃধা কাইতলা উত্তর ইউনিয়ন আওয়ামী লীগের সভাপতি পদে থাকলেও তার এসকল কর্মকান্ডের জন্য সভাপতি পদ থেকে তাকে অব্যাহতি দেয়া হয়েছে বলে জানান, নবীনগর উপজেলা আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক এম.এ হালিম।

এ বিষয়ে ব্রাহ্মণবাড়িয়া জেলা প্রশাসক হায়াত-উদ-দৌলা খান জানান, উনার বিপক্ষে সব অভিযোগ রিপোর্ট আকারে মন্ত্রণালয়ে পাঠানো হয়েছে। মন্ত্রণালয় থেকে সিদ্ধান্ত আসলেই আমরা ব্যবস্থা নেব।

Back to top button