শহীদ বীর মুক্তিযোদ্ধার ভূঁয়া সন্তানের ভাতা
স্থগিত করেছে মুক্তিযোদ্ধা কল্যাণ ট্রাস্ট।


নিজস্ব প্রতিবেদকঃ
ব্রাহ্মণবাড়িয়ার নবীনগর পৌরসভার ১,২ও৩নং ওয়ার্ডের নারী কাউন্সিলর নিলুফা ইয়াসমিনের বিরুদ্ধে উপজেলায় শহীদ বীর মুক্তিযোদ্ধার ভূয়া সন্তান সেজে ভাতা তোলার অভিযোগের ভিত্তিতে প্রাথমিক তদন্ত শেষে ভাতা স্থগিতের সিদ্ধান্ত নিয়েছে মুক্তিযোদ্ধা কল্যাণ ট্রাস্ট। গতকাল বৃহসপতিবার(২৯/১২)বাংলাদেশ মুক্তিযোদ্ধা কল্যাণ ট্রাস্ট এর বেসিক কর্মকর্তা মোঃ ফয়েজ আহমদ খান সাংবাদিকদের এ তথ্য জানান। উপজেলার নারী উদ্যোক্তা সমাজসেবিকা সাবিনা ইয়াসমিন পুতুল বাংলাদেশ মুক্তিযোদ্ধা কল্যাণ ট্রাস্টের ব্যবস্থাপনা পরিচালক বরবাররে নবীনগর উপজেলার বড়িকান্দি ইউনিয়নের ধরাভাঙ্গা গ্রামের শহীদ বীর মুক্তিযোদ্ধা ল্যান্স নায়েক মোঃ ওয়াহিদুজ্জামানের ভূয়া সন্তান সেজে ভাতা উত্তোলনের অভিযোগের প্রেক্ষিতে মুক্তিযোদ্ধা কল্যাণ ট্রাস্ট প্রাথমিক পদক্ষেপ হিসাবে ভাতা স্থগিত করে।
অভিযোগে দাবী করা হয়, কাউন্সিলর নিলুফা ইয়াসমিন তার আসল পরিচয় গোপন রেখে ওই শহীদ বীর মুক্তিযোদ্ধার সন্তান সেজে ভাতা উত্তোলন করছে। এসএসসির সনদ অনুযায়ী তার বাবার নাম আবদুর রহিম। নিলুফা ১৯৮৮ সালে মাঝিয়ারা উচ্চ বিদ্যালয় থেকে এসএসসি পরীক্ষায় অংশ নিয়ে তৃতীয় বিভাগে উত্তীর্ণ হন। তিনি ২০১৮ সালের অক্টোবর মাস থেকে প্রতিমাসে শহীদ মুক্তিযোদ্ধার ভাতা ৩০ হাজার ভাতা উত্তোলন করছেন। ইউনিয়ন পরিষদ থেকে স্বজনপ্রীতির মাধ্যমে আসল বাবার নাম গোপন রেখে জাতীয়তা সনদ ও শহীদ মুক্তিযোদ্ধা সন্তানের প্রত্যায়ন পত্র সংগ্রহ করেন। তিনি প্রতারণার মাধ্যমে রাষ্ট্রীয় কোষাগারের বিপুল পরিমাণ অর্থ আত্মসাৎ করেছেন। সাবিনা ইয়াসমিন পুতুল তার দৃষ্টান্তমূলক শাস্তির দাবী জানান।
কাউন্সিলর নিলুফা ইয়াসমি এ অভিযোগ অস্বীকার করে বলেন আমার ভাতা বন্ধ হয়নি,তিনি দাবী করেন তার বাবা নাম ওয়াহিদুজ্জামান।
এ ব্যাপারে বাংলাদেশ মুক্তিযোদ্ধা কল্যাণ ট্রাস্ট এর বেসিক কর্মকর্তা মোঃ ফয়েজ আহমদ খান বলেন,বিষয়টি প্রাথমিক ভাবে উভয় পক্ষের বক্তব্য শোনা হয়েছে,ওই সেনা সদস্য শহীদ বীর মুক্তিযোদ্ধার কিছু তথ্য উপাত্থ সংগ্রহের কাজ চলছে, কিছুটা সময় লাগবে,ভাতা বন্ধ রয়েছে।