নবীনগর

শোকাবহ আগষ্টে সাবেক ও বর্তমান এমপির মাস জুড়ে কর্মসূচিতে প্রাণবন্ত উপজেলা আওয়ামী লীগ

মোঃ বাবুল,নিজস্ব প্রতিবেদকঃ
ব্রাহ্মণবাড়িয়া নবীনগরে শোকাবহ আগষ্টে সাবেক এমপি উপজেলা আওয়ামী লীগের সভাপতি ফয়জুর রহমান বাদল ও বর্তমান এমপি এবাদুল করিম বুলবুলের মাস জুড়ে নানা কর্মসূচিতে প্রাণবন্ত উপজেলা আওয়ামী লীগ।

আগামী দ্বাদশ সংসদ নির্বাচনকে সামনে রেখে মাঠে নিজেদের জনপ্রিয়তা, দলীয় নেতাকর্মী ও নিজ নিজ অনুসারীদের মনোবল চাঙা করতে এবং শোকাবহ আগষ্টের ১৫ আগষ্ট বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান সহ স্বপরিবারে শহীদ ও ২১ আগষ্টে গ্রেনেড হামলায় শহীদ হওয়া সকলের প্রতি বিনম্র শ্রদ্ধার মধ্য দিয়ে নির্বাচনি প্রচারণার কৌশল হিসেবে বেছে নিয়েছে সাবেক ও বর্তমান এমপি।সাপ্তাহিক শুক্রবার,শনিবারের প্রোগ্রাম ছাড়া ৫ আগষ্ট উপজেলা অডিটোরিয়ামে দলীয় নেতাকর্মী ও ইউনিয়ন পরিষদ চেয়ারম্যানদের নিয়ে জাতীয় শোক দিবস উদযাপন উপলক্ষে মতবিনিময় সভা দিয়ে শুরু করেন বর্তমান এমপি এবাদুল করিম বুলবুল, তারই ধারাবাহিকতা ১৫ আগষ্ট বঙ্গবন্ধুর প্রতিকৃতিতে পুষ্পস্তবক অর্পণ, দলীয় কার্যলয়ে দোয়া মাহফিল,একই দিন নবীনগর বড় বাজারে ,১৯ আগষ্ট জিনদপুর ইউনিয়নের রমজান মোল্লা মসজিদ মাঠে,২৫ আগষ্ট গণিশাহ মাজার মাঠে,২৬ আগষ্ট বিদ্যাকুট উচ্চ বিদ্যালয় মাঠে নিজ অনুসারী,দলীয় নেতাকর্মী ও স্থানীয় জনগণের নিকট আগামী নির্বাচনে নৌকার মনোনয়ন পেতে সকলের সহযোগিতা ও অসমাপ্ত কাজগুলো সমাপ্ত করার সুযোগ দেয়ার অনুরোধ করে। অপরদিকে সাবেক এমপি ও উপজেলা আওয়ামী লীগের সভাপতি ফয়জুর রহমান বাদল ১৫ আগষ্ট বঙ্গবন্ধুর প্রতিকৃতিতে পুষ্পস্তবক অর্পণ শেষে প্রথমে দলীয় কার্যলয়ে পরে একই দিনে নবীনগর পৌরসভার সবকয়টি ওয়ার্ডে পৃথক তিনটি স্থানে,১৯ আগষ্ট সাহেবনগরে,গোপালপুর উচ্চ বিদ্যালয় মাঠে,শ্রীরামপুর নবারুণ একাডেমি বিদ্যালয় মাঠে,২১ আগষ্ট বিটঘর রাধানাথ উচ্চ বিদ্যালয় মাঠে,চরিলাম চারগ্রাম বাজারে,নাটঘর উচ্চ বিদ্যালয় মাঠে,২৬ আগষ্ট শিবপুর উচ্চ বিদ্যালয় মাঠে, বাশারুক বাজার মোড়ে ও জিনদপুর বাজার সংলগ্ন মাঠে দলীয় নেতাকর্মী,নিজ অনুসারী ও সাধারণ জনগণের নিকট বঙ্গবন্ধুর স্বপ্ন বাস্তবায়ণ ও উপজেলাকে দালাল,হাইব্রিড মুক্ত সুন্দর আওয়ামী লীগ উপহার দিতে নৌকার পক্ষে আগামী নির্বাচনে তাকে মনোনয়ন পেতে সহযোগিতা করার অনুরোধ করেন এবং তিনি সকলের ভোটে নির্বাচিত হতে পারে উপজেলার সাধারণ মানুষ তাদের অধিকার ফিরে পাবেন ও দলীয় নেতাকর্মী বা কোন প্রভাবশালী ব্যক্তিদ্বারা কোন সাধারণ মানুষ হয়রানি স্বীকার হবে না এমন অঙ্গিকার করে।
উল্লেখ্য বর্তমান এমপির চেয়ে সাবেক এমপির অনুষ্ঠানে সাধারণ জনগন, উপজেলা ও তৃণমূলের আওয়ামী লীগের নেতাকর্মীদের উপস্থিতি ছিল অনেকাংশে বেশি।এতে করে উপজেলা আওয়ামী লীগ চাঙা হয়েছে বলে মনে করেছে অনেক বিজ্ঞ নেতাকর্মীরা।

Back to top button