নবীনগর

হিন্দু কুমারী মেয়ের বিয়ে ভাঙ্গতে গিয়ে জুতাপেটা খেল ৫ সন্তানের জনক কাদির!

ব্রাহ্মণবাড়িয়া নবীনগরের এক সনাতন ধর্মের কুমরী মেয়ের বিয়ে ভাঙ্গতে গিয়ে জুতাপেটা ও সাদা কাগজে স্বাক্ষর করে শেষ রক্ষা হল মুসলিম বয়স্ক বখাটের।

সরজমিনে গিয়ে জানা যায়, উপজেলার রছুল্লাবাদ গ্রামের সম্ভব ইউনিয়ন পরিষদের মেম্বার পদপ্রার্থী ৫ সন্তানের জনক আব্দুল কাদির তার একই গ্রামের এক সনাতন ধর্মের কুমারী মেয়ের বিয়ে ভাঙ্গতে প্বার্শবর্তী উপজেলার মুরাদনগরের রাজা চাপিতলা বরের বাড়িতে চলে যান। ঐখানে গিয়ে সে তার পকেটে ওসি ইউ এনও সব সময় থাকে বলে হুমকি ধমকি দিয়ে মিথ্যা বানোয়াট প্রেমকাহিনী বর্ণনা করলে স্থানীয়রা তাকে আটক করে রাখেন। উল্লেখ সে অবৈধ ড্রেজিং ব্যবসায়ি এবং মাটি ব্যবস্থাপনা আইন ২০১০ লঙ্ঘনের জন্য সাম্প্রতি দন্ডিত হয়েছে।

এবিষয়ে তাকে আটক করা রাজা চাপিতলা গ্রামের প্রবীণ অবসরপ্রাপ্ত শিক্ষক সমির চন্দ্র লক্ষ্মী বলেন,মেয়ে পক্ষ খুবই ভাল সর্বদিক বিবেচনা করে আমাদের গ্রামের ছেলের সাথে বিবাহ ঠিক করা হয়,কিন্তু বিয়ের আগেই হঠাৎ করে আব্দুল কাদির নামক এক মুসলিম বয়স্ক বখাটে বরের বাড়িতে এসে মিথ্যা বানোয়াট কাহিনী বলে বিয়ে ভাঙ্গতে চায়।বিষয়টি সাম্প্রদায়িক হওয়ায় আমরা প্রথমে তাকে আইনের হাতে তুলে দিতে চাইলে, সে তার গ্রামের ইউ পি সদস্য সহ গন্যমান্য কিছু লোক কে ফোন করলে তারা এসে জুতাপেটা করে সাদা কাগজে স্বাক্ষর করে নিয়ে যায়।আমরা বিয়ে যেন না ভাঙ্গে বরের পরিবারের সাথে কথা বলে বাংলা মাসের ১৩ তারিখ বিয়ের দিন নির্ধারণ করেছি।আমি একজন শিক্ষক হিসেবে এমন নেক্কারজনক ঘটনার ঘটানোর জন্য কঠিন বিচার দাবি করি।

কঠিন বিচারের কথা বলে জুতাপেটা করে কাদির কে নিয়ে আসা রছুল্লাবাদ ইউনিয়ন পরিষদের সদস্য আব্দুর রহিম বলেন, সে যে কাজটি করেছে তার জন্য জুতাপেটা করা ছাড়া উপায় ছিল না,আমি এতকষ্ট করে ঐখান থেকে গিয়ে ছাড়িয়ে নিয়ে আসলাম অথচ কিছু লোকজন আমাকে না জানিয়ে নীরবে রফাদফা করে দিল।

নীরবে রফাদফা ও কুমারী মেয়ের বিয়ে ভাঙ্গতে যাওয়া ৫ সন্তানের জনক আব্দুল কাদির কে এবিষয়ে জিজ্ঞেসা করার জন্য মুঠোফোনে সোমবার (১৪/০৬)ফোন করা হলে সে প্রথমে বক্তব্য দিবে মর্মে বলে, তার পরোক্ষণে আধা ঘন্টা পর সাংবাদিকদের হুমকি ধমকি দিয়ে চাঁদা চাওয়ার অযুহাত দেখিয়ে ঘটনা আড়াল করতে চেষ্টা করেন।

ঘটনা নীরবে দামাচাপা দেয়া কাদিরের অপরাধ ও কি ধরনের শাস্তি নিশ্চিত হওয়া দরকার এবিষয়ে রছুল্লাবাদ ইউনিয়ন পরিষদের চেয়ারম্যান আলী আকবর বলেন,আমি আমার পরিষদ থেকে ইউ পি সদস্য ও গ্রাম পুলিশ পাঠিয়ে ছিলাম তাকে রঁশি দিয়ে বেঁধে নিয়ে আসতে, তারা তাকে জুতাপেটা করে নিয়ে এসেছে।আমি বরের পরিবারকে আস্বস্ত করেছি আমি নিজে বাবা সেজে মেয়েকে তাদের হাতে তুলে দিব।কাদিরের কঠিন বিচার আমরা নীরবে করেছি।

Back to top button