যুক্তরাজ্যে সাক্ষাৎ চেয়ে ড. ইউনূসকে চিঠি দিয়েছেন টিউলিপ

আন্তর্জাতিক ডেস্ক.

প্রধান উপদেষ্টা ড. মুহাম্মদ ইউনূসের সঙ্গে সাক্ষাৎ করার অনুরোধ জানিয়ে চিঠি দিয়েছেন যুক্তরাজ্যের এমপি এবং সাবেক মন্ত্রী টিউলিপ সিদ্দিক। চিঠিতে টিউলিপ বলেছেন, তার বিরুদ্ধে কথিত দুর্নীতির অভিযোগ নিয়ে যে ‘ভুল বোঝাবুঝি’ হয়েছে, তা মীমাংসা করতে চান তিনি। যুক্তরাজ্যের সংবাদমাধ্যম গার্ডিয়ান এক প্রতিবেদনে এ তথ্য জানিয়েছে।

টিউলিপ সিদ্দিকের আরেক পরিচয় তিনি বাংলাদেশের সাবেক প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার ভাগ্নি। গত বছর ৫ আগস্ট শিক্ষার্থী-জনতার অভ্যুত্থানে যখন শেখ হাসিনার নেতৃত্বাধীন সরকারের পতন ঘটে, সে সময় যুক্তরাজ্যের প্রধানমন্ত্রী কিয়ার স্টারমারের নেতৃত্বধীন সরকারের নগর উন্নয়ন ও ট্রেজারি বিষয়ক মন্ত্রী ছিলেন টিউলিপ। ২০২৪ সালের নির্বাচনে জিতে মন্ত্রিসভার সদস্য হয়েছিলেন তিনি।

শেখ হাসিনার নেতৃত্বাধীন সরকারের পতনের পর তার এবং তার পরিবারের সদস্যদের দুর্নীতির অনুসন্ধানে নামে বাংলাদেশের দুর্নীতি দমন সংস্থা দুদক। প্রাথমিক অনুসন্ধানে রূপপুর পারমাণবিক বিদ্যুৎ কেন্দ্র প্রকল্প থেকে অর্থ আত্মসাতের অভিযোগ ওঠে টিউলিপের বিরুদ্ধে। সেই অভিযোগের অনুসন্ধান এখনও চলছে।

এছাড়া শেখ হাসিনা ও আওয়ামী লীগের ঘনিষ্ঠজনদের কাছ থেকে উপহার হিসেবে লন্ডনে একটি ফ্ল্যাট নিয়েছেন বলেও অভিযোগ ওঠে টিউলিপের বিরুদ্ধে। তার সম্পদ বিবরণীতেও কিংস ক্রস এলাকার ওই ফ্ল্যাটটির নাম রয়েছে। তবে টিউলিপ বলেছেন, ফ্ল্যাটটি তিনি উত্তরাধিকার সূত্রে পিতা-মাতার কাছ থেকে পেয়েছিলেন এবং এটির উৎস সম্পর্কে তিনি জানতেন না। যুক্তরাজ্যের দুর্নীতি বিরোধী সংস্থা তার এই স্বীকারোক্তি মেনে নিয়েছে, কিন্তু এই নিয়ে দেশটির রাজনৈতিক অঙ্গণে যে সমালোচনা শুরু হয়েছিল, তার জেরে মন্ত্রিত্ব ছাড়তে বাধ্য হন টিউলিপ। বর্তমানে তিনি শুধুই একজন এমপি।

ড. মুহাম্মদ ইউনূসকে দেওয়া চিঠিতে টিউলিপ লিখেছেন, “আমি যুক্তরাজ্যের একজন নাগরিক, লন্ডনে জন্মেছি এবং গত এক দশক ধরে যুক্তরাজ্যের পার্লামেন্টে হ্যাম্পস্টেড অ্যান্ড হাইগেট এলাকার বাসিন্দাদের প্রতিনিধিত্ব করছি।”

“বাংলাদেশে আমার কোনো সম্পত্তি নেই এবং সেখানে কোনো সম্পত্তি বা বাণিজ্য করার কোনো আগ্রহ বা পরিকল্পনা আমার ছিল না, এখনও নেই। আমি বাংলাদেশকে হৃদয় দিয়ে ভালবাসি, কিন্তু দেশটি আমার জন্মভূমি নয়। আমি যুক্তরাজ্যেই বড় হয়েছি, বেড়ে উঠেছি এবং নিজের ক্যারিয়ার তৈরি করেছি।”

“আমি দুদকের কাছে বিষয়টি পরিষ্কার করতে চেয়েছি। লন্ডনে আমার আইনজীবীরা এ ইস্যুতে দুদকের সঙ্গে যোগাযোগও করেছে কিন্তু দুদক আমার আইনজীবীদের সঙ্গে কথা বলতে চায়নি। তারা আমাকে তলব করে ঢাকার যে ঠিকানায় চিঠি পাঠাচ্ছে, সেটিও সঠিক নয়।

“এই যে একটি অলীক অনুসন্ধান দুদক শুরু করেছে— তার প্রতিটি পদক্ষেপ মিডিয়ার সামনে প্রকাশ করা হচ্ছে এবং তা করা হচ্ছে আমার লিগ্যাল টিমের সঙ্গে কোনো প্রকার যোগাযোগ না করেই।”

“আপনি যুক্তরাজ্য সফরে আসছেন। আমি আপনার সঙ্গে সাক্ষাৎ করতে আগ্রহী। আমার সঙ্গে আমার মায়ের বোন ও বাংলাদেশের সাবেক প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার সম্পর্ক নিয়ে যেসব ভুল ধারণা বাংলাদেশের দুর্নীতি দমন কমিশনের বরাতে ছড়িয়ে পড়েছে, আমি আশাবাদী যে আপনার সঙ্গে আমার সাক্ষাতের পর সেসব দূর হবে।”প্রসঙ্গত, রাজা চার্লসের আমন্ত্রণে আগামীকাল ৯ জুন চার দিনের এক সরকারি সফরে যুক্তরাজ্যে যাচ্ছেন ড. মুহাম্মদ ইউনূস। সেখানে রাজা এবং প্রধানমন্ত্রী কিয়ার স্টারমারের সঙ্গে তার সাক্ষাতের কথা রয়েছে।

নবীনগরে প্রীতি ক্রিকেট ম্যাচ অনুষ্ঠিত।

নিজস্ব প্রতিবেদকঃ

ব্রাহ্মণবাড়িয়ার নবীনগরে সরকারি কলেজ মাঠ প্রাঙ্গনে নবীনগর সরকারি পাইলট উচ্চ বিদ্যালয়ের এস.এস. সি ৯৯ ব্যাচ ও ২০০৩ ব্যাচের মধ্যকার ঈদ পরবর্তী প্রীতি ক্রিকেট ম্যাচ অনুষ্ঠিত হয়েছে।

রবিবার (০৮-০৬-২০২৫) দুপুরে নবীনগর সরকারি পাইলট উচ্চ বিদ্যালয় মাঠ প্রাঙ্গনে এ প্রীতি ক্রিকেট ম্যাচটি অনুষ্ঠিত হয়।

এই ম্যাচে প্রথমে ব্যাট করতে নেমে ২০০৩ ব্যাচের শিক্ষার্থীরা ১৫৬ রান করলে এর বিপরীতে ১৯৯৯ ব্যাচের শিক্ষার্থীরা ১২০ রান করতে সক্ষম হয়। ফলে এই ম্যাচে ২০০৩ ব্যাচের শিক্ষার্থীরা ৩৬ রানে জয় পায়।

এবিষয়ে ২০০৩ ব্যাচের হযরত আলী বলেন, ঈদ পরবর্তী প্রানবন্ত একটি খেলা অনুষ্ঠিত হয়েছে। আমরা ৩৬ রানে বিজয়ী হয়েছি।

৯৯ ব্যাচের শিক্ষার্থী মাসুম আহমেদ বলেন, খেলাধুলা হচ্ছে আনন্দ উপভোগ করার। নিজেদের মধ্যে সম্প্রতি ও ভালোবাসা বিস্তার করার। আমরা হেরেছি তবু আনন্দ পাচ্ছি।

নবীনগরে নিখোঁজ যুদ্ধাহত মুক্তিযোদ্ধা শাহান!

নিজস্ব প্রতিবেদকঃ

ব্রাহ্মণবাড়িয়ার নবীনগরে যুদ্ধাহত বীর মুক্তিযোদ্ধা শামসুল ইসলাম শাহন ঈদের দিন বিকাল ৫. ০০ ঘটিকা থেকে নিখোঁজ।

গতকাল শনিবার (০৭-০৬-২৫) ঈদের দিন শামসুল ইসলাম শাহনের মোবাইলে একটা ফোন আসার পর উপজেলার শিবপুর ইউনিয়নের কনিকাড়াস্থ নিজ বাস ভবন থেকে নবীনগরে আসার কথা বলে বের হন তিনি। তখন থেকেই অদ্য পর্যন্ত তার কোন খুঁজ পাওয়া যায়নি বলে জানিয়েছেন পরিবারের সদস্যরা। তার সাথে থাকা মোবাইল ফোনটিও বন্ধ

।শাহনের বড় ছেলে পুলিশ সদস্য রাশেদুল ইসলাম জানান, ঈদের দিন বিকেল থেকে আব্বার কোন খুঁজ পাওয়া যাচ্ছে না। মোবাইল ফোন বন্ধ। থানায়-র্যাবে যোগাযোগ করেও তার কোন খুঁজ মিলেনি। শাহনের ছোট ছেলে রায়হান জানান, আমি ঘরে শুয়ে ছিলাম। আব্বা কার সাথে ফোনে কথা বলছিলো। ঈদের শুভেচ্ছা বিনিময় করে ২-৩ মিনিট কথা বলেন। পরে আমি নবীনগর যাই বলে বাড়িতে আর ফিরেনি।

এবিষয়ে নবীনগর উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা রাজিব চৌধুরী” ইউএনও নবীনগর” ফেইসবুক পেইজে পোস্ট দিয়েও তার সন্ধান পেতে সহযোগিতা কামনা করেছে।এবং তার সর্বশেষ লোকশন উপজেলার বগডহর গ্রামে ছিল বলেও একটি কমেন্টসের জবাবে লিখেছেন।

১৩ ঘণ্টা পর মিলল শাশুড়ি ও পুত্রবধূর মরদেহ

নিজস্ব প্রতিবেদক.

নারায়ণগঞ্জের আড়াইহাজার উপজেলার বিশনন্দী ফেরিঘাটের মেঘনা নদীতে ছিটকে পড়ে সিএনজিচালিত অটোরিকশার নিখোঁজ দুই যাত্রীর মরদেহ উদ্ধার করা হয়েছে। দুর্ঘটনার প্রায় ১৩ ঘণ্টা পর শাশুড়ি ও পুত্রবধূর মরদেহ উদ্ধার করা হয়েছে।

শনিবার (৭ জুন) ভোররাত ৫টার দিকে এ দুর্ঘটনা ঘটে। নিহতরা হলেন, খালেদা বেগম (৫৫) ও ফারজানা বেগম (২২)। তারা ব্রাহ্মণবাড়িয়ার নবীনগর উপজেলার রসুল্লাবাদ গ্রামের বাসিন্দা।

আড়াইহাজার থানা পুলিশের ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) খন্দকার নাসির উদ্দিন জানান, বিকেল ৬টার দিকে মেঘনা নদী থেকে সিএনজিচালিত অটোরিকশাটি উদ্ধার করা হয়। ভেতরে দুই নারীর মরদেহ পাওয়া গেছে। এর আগে দুর্ঘটনার পরপরই উদ্ধার করা হয় খালেদা বেগমের ছেলে কামাল হোসেনকে (১৯)। বর্তমানে তিনি চিকিৎসাধীন।

কামালের চাচাতো ভাই মোসলেহ উদ্দিন বলেন, আমার চাচা-চাচি পরিবারসহ ঢাকার যাত্রাবাড়ীতে থাকেন। চাচা একটি পেট্রোল পাম্পে চাকরি করেন। ঈদের ছুটিতে চাচি, তার দুই ছেলে ও পুত্রবধূ বাড়ি ফিরছিলেন সিএনজি অটোরিকশায় করে। ফেরিতে ওঠার কিছুক্ষণ পর একটি ঝাঁকুনির সময় অটোরিকশাটি নদীতে পড়ে যায়। আমার চাচাতো ভাই কামাল উঠতে পারলেও চাচি ও ভাবি বের হতে পারেননি।

প্রত্যক্ষদর্শীরা জানান, দুর্ঘটনার সময় অটোরিকশার চালক কুদ্দুছ ও ফারজানার স্বামী সাগর মিয়া ফেরিতে নামিয়ে পাশেই দাঁড়িয়ে ছিলেন। অটোরিকশায় তিনজন যাত্রী বসা ছিলেন। তাদের অভিযোগ, ফেরিটির পেছনে কোনো রেলিং বা সুরক্ষা ব্যবস্থা ছিল না। সামান্য ঝাঁকুনিতেই অটোরিকশাটি কাত হয়ে নদীতে পড়ে যায়।আড়াইহাজার উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা (ইউএনও) সাজ্জাত হোসেন জানান, দুর্ঘটনার খবর পেয়ে সকালেই তিনি ঘটনাস্থলে ছুটে যান। তিনি বলেন, এই দুর্ঘটনা অত্যন্ত মর্মান্তিক। ফেরিতে নিরাপত্তাব্যবস্থার ঘাটতি ছিল কিনা, তা তদন্ত করে দেখা হচ্ছে। প্রয়োজনীয় আইনগত ব্যবস্থা নেওয়া হবে।

প্রধান উপদেষ্টার সঙ্গে সেনাপ্রধানের সাক্ষাৎ

বাসস.

পবিত্র ঈদুল আজহা উপলক্ষ্যে রাষ্ট্রীয় অতিথি ভবন যমুনায় প্রধান উপদেষ্টা অধ্যাপক মুহাম্মদ ইউনূসের সঙ্গে সস্ত্রীক সাক্ষাৎ করেছেন সেনাপ্রধান ওয়াকার-উজ-জামান।

শনিবার (৭ জুন) দুপুরে এ সাক্ষাৎ অনুষ্ঠিত হয়।

প্রধান উপদেষ্টার প্রেস সচিব শফিকুল আলম এ তথ্য নিশ্চিত করেছেন।সারা দেশে উৎসবের আমেজে উদযাপিত হচ্ছে মুসলিম ধর্মাবলম্বীদের অন্যতম বৃহৎ ধর্মীয় উৎসব পবিত্র ঈদুল আজহা। ধর্মীয় ভাবগাম্ভীর্য, কোরবানির ত্যাগ ও পারস্পরিক সহানুভূতির এক মহৎ বার্তা নিয়ে শনিবার সকাল থেকেই শুরু হয়েছে ঈদের আনুষ্ঠানিকতা।

 

যানজটের ঢাকা এখন ফাঁকা : সড়কে অটোরিকশার দাপট

নিজস্ব প্রতিবেদক.
যানজটের নগরী ঢাকা এখন অনেকটাই ফাঁকা। কমেছে মানুষের কোলাহল, হকারের হাঁকডাক আর যন্ত্রযানের হুইসেল, নেই চিরচেনা যানজট। পবিত্র ঈদুল আজহার লম্বা ছুটিতে রাজধানী ছেড়েছেন অসংখ্য মানুষ। আবার অনেকে ছেড়ে যাচ্ছেন। ফলে ফাঁকা হয়ে যাচ্ছে এই মেগা শহর।এদিকে ফাঁকা শহরে দাপটের সঙ্গে সব সড়কে ঘুরে বেড়াচ্ছে ব্যাটারিচালিত অটোরিকশা। অফিস-আদালত বন্ধ হওয়ায় যাত্রী কম থাকায় গণপরিবহনগুলোতে ফাঁকা সিট নিয়ে যেতে দেখা যায়।

সরেজমিনে রাজধানীর মোহাম্মদপুর, ধানমন্ডি, ঝিগাতলা, ফার্মগেট, কারওয়ান বাজার, বাংলামোটর, শাহবাগ, মৎস্য ভবন এলাকায় দেখা যায় অন্যান্য দিনের তুলনায় যানবাহনের সংখ্যা কম। সড়কগুলো যাত্রীর তেমন চাপ দেখা যায়নি। বেশিরভাগ যানবাহনে রয়েছে যাত্রী সংকট, যাত্রীর অভাবে আসন ফাঁকা রেখেই গন্তব্যে যাচ্ছে যানবাহনগুলো। যাত্রী সংকটে এসব পয়েন্টে কিছু সময়ের জন্য বাসগুলোকে অপেক্ষা করতেও দেখা গেছে। বাস ও লেগুনার স্টাফদের দীর্ষ সময় ধরে যাত্রীর জন্য ডাকাডাকি করতে শোনা গেছে।রাজধানীতে কিছু যানবাহন চলাচল করলেও সড়কের কোথাও যানজটের চিত্র দেখা মেলেনি। তবে বিভিন্ন ট্রাফিক সিগন্যালে স্বল্প সময়ের জন্য গাড়িগুলোকে থামতে দেখা যায়। সেই সঙ্গে ফাঁকা রাস্তায় রিকশা, ব্যাটারিচালিত রিকশা, সিএনজিচালিত অটোরিকশা, প্রাইভেটকার ও মোটরসাইকেল দাপিয়ে বেড়াতে দেখা গেছে। ভাড়া চালিত পাঠাও চালকদের যাত্রীর জন্য অপেক্ষা করতে দেখা যায়।

রাজধানীর মোহাম্মদপুরে বাস ড্রাইভার সুমন মিয়া ঢাকা পোস্টকে বলেন, গতকাল যাত্রীর চাপ ছিল। আজকে পুরো বাস ফাঁকা। যাত্রীর তেমন চাপ নেই। উল্টো সংকট আছে যাত্রীর। হাজিরা উঠবে কিনা টেনশন আছি। হয়তো টিপ কমিয়ে দিতে হবে।

ঝিগাতলার লেগুনার ড্রাইভার রবিউল হুসাইনের সঙ্গে কথা হয় ঢাকা পোস্টের এই প্রতিবেদকের। তিনি বলেন, ‘সকাল থেকে যাত্রী নাই তার উপরে আবার বৃষ্টি হচ্ছে, একটা গাড়ি ভরতে ৪০ থেকে ৫০ মিনিটের বেশি সময় লেগে যায়। যেখানে আগে সেটা ১০ থেকে ২০ মিনিটে হয়ে যেত। ঈদে যাত্রীদের চাপ কমে গেছে। আজকে নিয়মিত যাত্রীর চেয়েও কম।

ব্যাটারিচালিত অটোরিকশার চালক রিপন মিয়া জানান, যানজট নেই। যাত্রী যা আছে ভালোই ইনকাম হচ্ছে। নিয়মিত ভাড়ার সঙ্গে ৫/১০ টাকা ঈদের বকশিশও পাচ্ছি।

কারওয়ান বাজারের সিগন্যালে কথা হয় ফুটপাতের চা দোকানদার দেলোয়ার হোসেন সঙ্গে। তিনি এবার ঈদে বাড়ি যাননি। বরিশালে বাড়ি হলেও ঢাকাতে ঈদ উদযাপন করবেন। তিনি বলেন, যানজট ঠেলে বাড়ি যেতে ভালো লাগে না। ঈদের ছুটি শেষে বাড়িতে যাব। কাস্টমার তেমন নেই। ঈদের দিনও খোলা রাখবো। অন্য সময়ে এখানে অনেক যানজট থাকতো, আজকে দেখেন ফাঁকা। সবাই বাড়ির দিকে চলে যাচ্ছে। কালকে তো আরো ফাঁকা হয়ে যাবে। যতদিন মানুষ থাকবে না ঢাকা এরকম নিরিবিল থাকবে।

নবীনগরে বাস-সিএনজি মুখোমুখি সংঘর্ষে নিহত ৩।

নিজস্ব প্রতিবেদক : ব্রাহ্মণবাড়িয়ার নবীনগরের ইব্রাহিমপুর ইউনিয়নের এতিমখানা গেইটের কোম্পানিগঞ্জ টু নবীনগর রোডে বাস-সিএনজি সংঘর্ষে নিহত ৩ জন। নিহতরা হলেন পৌর এলাকার নারায়নপুর গ্রামের বিল্লাল মিয়ার ছেলে সিএনজি চালক সোহাগ মিয়া (১৯), লাপাং গ্রামের হযরত আলীর ছেলে আবুল কাশেম (৫৮) ও ফেনীর সদর উপজেলার দক্ষিণ ফরাদনগর গ্রামের আবুল খায়েরের ছেলে নুরুল আলম (৫৫) বলে জানা গেছে। সরজমিনে গিয়ে জানা যায়, চট্টগ্রাম থেকে সিলেটের উদ্দেশ্যে ছেড়ে আসা একটি বাস ও নবীনগর থেকে যাওয়া একটি সিএনজির মধ্যে মুখোমুখি সংঘর্ষে এ দূর্ঘটনাটি ঘটে। বাসটি সিলেটের দুরন্ত পরিবহন সার্ভিসের । এতে নিহত ৩ জনের লাশ স্থানিয় ফায়ার সার্ভিস কর্মীদের সহায়তায় নবীনগর থানা পুলিশ থানায় নিয়ে আসেন। নবীনগর থানার ভারপ্রাপ্ত পুলিশ পরিদর্শক (ওসি) মো. আব্দুর রাজ্জাক জানান, আমরা লাশ নবীনগর থানায় নিয়ে এসেছি, একজন ফেনী জেলার হওয়ায় তার পরিবারের সাথে যোগাযোগের চেষ্টা করছি।

৭ লাখ ৯০ হাজার কোটি টাকার বাজেট প্রস্তাব, ঘাটতি ২ লাখ ২৬ হাজার কোটি

নিজস্ব প্রতিবেদক.

আসন্ন ২০২৫-২৬ অর্থবছরের প্রস্তাবিত বাজেটের আকার ধরা হচ্ছে ৭ লাখ ৯০ হাজার কোটি টাকা। বিশাল অংকের এ বাজেটের ঘাটতি ধরা হচ্ছে ২ লাখ ৫১ হাজার ৬০০ কোটি টাকা। আর অনুদান ছাড়া ঘাটতির পরিমাণ দাঁড়াবে ২ লাখ ২৬ হাজার কোটি টাকা, যা মোট জিডিপির ৩ দশমিক ৬ শতাংশ।২০২৫-২৬ অর্থবছরের জন্য ৭ লাখ ৯০ হাজার কোটি টাকার বাজেট প্রস্তাব করেছে অন্তর্বর্তীকালীন সরকার। সোমবার বিকেলে রাষ্ট্রীয় সম্প্রচার মাধ্যম বিটিভিসহ অন্যান্য বেসরকারি গণমাধ্যমে একযোগে বাজেট প্রস্তাব উপস্থাপন করেন অর্থ উপদেষ্টা ড. সালেহউদ্দিন আহমেদ। এটি অন্তর্বর্তীকালীন সরকারের প্রথম বাজেট। এর আগে সাবেক তত্ত্বাবধায়ক সরকারের অর্থ উপদেষ্টা এ বি মির্জ্জা মো. আজিজুল ইসলাম ২০০৭-০৮ ও ২০০৮-০৯ অর্থবছরের বাজেট টেলিভিশন ও বেতারের মাধ্যমে ঘোষণা করেছিলেন।
এ বাজেটে পরিচালন ও অন্যান্য ব্যয়ের জন্য বরাদ্দ রাখা হয়েছে ৫ লাখ ৬০ হাজার কোটি টাকা এবং বার্ষিক উন্নয়ন কর্মসূচি (এডিপি) বাবদ বরাদ্দ রাখা হয়েছে ২ লাখ ৩০ হাজার কোটি টাকা।প্রস্তাবিত বাজেটে রাজস্ব আদায়ের লক্ষ্যমাত্রা ধরা হয়েছে ৫ লাখ ৬৪ হাজার কোটি টাকা। এর মধ্যে জাতীয় রাজস্ব বোর্ড (এনবিআর) সংগ্রহ করবে ৪ লাখ ৯৯ হাজার কোটি টাকা এবং অন্যান্য উৎস থেকে আসবে ৬৫ হাজার কোটি টাকা।বাজেটে ঘাটতি ধরা হয়েছে ২ লাখ ২৬ হাজার কোটি টাকা, যা মোট জিডিপির একটি উল্লেখযোগ্য অংশ। এ ঘাটতি পূরণে অভ্যন্তরীণ উৎস থেকে ১ লাখ ২৫ হাজার কোটি এবং বৈদেশিক উৎস থেকে ১ লাখ ১ হাজার কোটি টাকা ঋণ নেওয়ার পরিকল্পনা রয়েছে।২০২৫ সালের জুলাই মাসে সংঘটিত অভ্যুত্থানে শহীদ ও আহতদের পরিবারের জন্য বাজেটে বরাদ্দ রাখা হয়েছে ৪২০ কোটি টাকা।সরকারের দৃষ্টিতে সংকোচনমূলক এই বাজেট চলতি ২০২৪-২৫ অর্থবছরের মূল বাজেটের চেয়ে ৭ হাজার কোটি টাকা কম। বাংলাদেশের ইতিহাসে এবারই প্রথম বাজেটের আকার আগের চেয়ে কমল।

বাজেটে গুরুত্বপূর্ণ খাতে বরাদ্দের চিত্র

  •    সুদ পরিশোধ: ১ লাখ ২২ হাজার কোটি টাকা
  •     জন প্রশাসন: ১ লাখ ২১ হাজার ৬৬০ কোটি টাকা
  •     প্রতিরক্ষা: ৪১ হাজার ৮০ কোটি টাকা
  •     শিক্ষা ও প্রযুক্তি: ১ লাখ ১০ হাজার কোটি টাকা
  •     কৃষি: ৪৬ হাজার ৬১০ কোটি টাকা
  •     স্বাস্থ্য ও পরিবার কল্যাণ: ৪১ হাজার ৯০৮ কোটি টাকা
  •     বিদ্যুৎ ও জ্বালানি: ২২ হাজার ৯১০ কোটি টাকা
  •     সামাজিক নিরাপত্তা: ৩৭ হাজার কোটি টাকামূল্যস্ফীতি ও প্রবৃদ্ধি লক্ষ্যমাত্রা

    চলতি অর্থবছরের জন্য প্রবৃদ্ধি লক্ষ্যমাত্রা নির্ধারণ করা হয়েছে ৫.৫ শতাংশ এবং মূল্যস্ফীতি লক্ষ্যমাত্রা বাড়িয়ে ৬ শতাংশে নির্ধারণ করা হয়েছে।

    পণ্যে শুল্ক-কর পরিবর্তন: দাম বাড়বে ও কমবে

    বাজেট বক্তৃতায় বেশ কিছু পণ্যের ওপর শুল্ক ও কর বাড়ানো ও কমানোর প্রস্তাব করা হয়েছে। এর ফলে বাজারে পণ্যের দামের ওপর প্রভাব পড়বে।

    বাজেটে দাম বাড়বে

    •     সিগারেট
    •     লিপস্টিক
    •     প্লাস্টিক পণ্য
    •     সুতা
    •     রাস্তার উপকরণ (রোড মেটেরিয়ালস)
    •     ওটিটি (OTT) সেবা
    •     আমদানিকৃত এলইডি লাইট ও অনলাইন কেনা ব্লেড, কৃত্রিম আঁশদাম কমবে
      •     স্থানীয়ভাবে উৎপাদিত রেফ্রিজারেটর, ফ্রিজার ও এয়ার কন্ডিশনার
      •     স্যানিটারি ন্যাপকিন
      •     প্যাকেটজাত তরল দুধ
      •     চিনি
      •     বল পয়েন্ট কলম
      •     জমির নিবন্ধন ফি
      •     ইন্টারনেট সেবা
      •     বাস ও মাইক্রোবাস

      সরকার আশা করছে, এই বাজেটের মাধ্যমে দেশের অর্থনীতি স্থিতিশীল থাকবে এবং জনগণের জীবনমান উন্নয়নে অবদান রাখবে।

গণতান্ত্রিক ছাত্রসংসদ ঢাকা কলেজ শাখার আফজাল আহ্বায়ক সজিব সদস্য সচিব ।

নিজস্ব প্রতিবেদক.

বাংলাদেশ গণতান্ত্রিক ছাত্রসংসদ ঢাকা কলেজ শাখার ৭১ সদস্যের আহ্বায়ক কমিটি গঠিত হয়েছে। এতে ঢাকা কলেজ ইংরেজী বিভাগের ২০২০-২১ সেশনের মো. আফজাল হোসেনকে আহ্বায়ক ও একই সেশনের প্রাণিবিদ্যা বিভাগের মো.সজিব উদ্দিনকে সদস্য সচিব করা হয়েছে।

সোমবার (০২ জুন) রাতে বাংলাদেশ গণতান্ত্রিক ছাত্রসংসদের কেন্দ্রীয় কমিটির আহ্বায়ক আবু বাকের মজুমদার ও সদস্য সচিব জাহিদ আহসান স্বাক্ষরিত এক প্রেস বিজ্ঞপ্তিতে পূর্ণাঙ্গ এ কমিটি ঘোষণা করা হয়।

বিজ্ঞপ্তিতে বলা হয়, বাংলাদেশ গণতান্ত্রিক ছাত্রসংসদ ঢাকা কলেজ শাখার নিম্নোক্ত আহ্বায়ক কমিটি এক (০১) বছরের জন্য অনুমোদিত হলো। কমিটিতে সিনিয়র যুগ্ম আহ্বায়ক হয়েছেন ফয়সাল প্রধান ও সিনিয়র যুগ্ম সদস্য সচিব হয়েছেন জাহাঙ্গীর আলম। মাসকাওয়াত হাসান তামিমকে মুখ্য সংগঠক এবং মুখপাত্র করা হয়েছে আশরাফুল ইসলাম হাফিককে। এছাড়াও যুগ্ম আহ্বায়ক হয়েছেন ৯ জন, যুগ্ম সদস্য সচিব ১৩ জন, সংগঠক ১৬ জন ও ২৫ জনকে ছাত্র সংগঠনটির সদস্য করা হয়েছে।

বাংলাদেশ গণতান্ত্রিক ছাত্রসংসদ ঢাকা কলেজ শাখার নতুন আহ্বায়ক মো. আফজাল হোসেন বলেন, এই কমিটিতে আমাকে আহ্বায়ক হিসেবে মনোনীত করায়  আমি  দায়িত্বশীলদের প্রতি  কৃতজ্ঞতা প্রকাশ করছি। আমরা এই সংগঠনে থেকে শিক্ষার্থীবান্ধব ছাত্ররাজনীতি টা করতে চাই। শিক্ষার্থীদের যেকোন ন্যায্য অধিকারের প্রতি আমাদের সমর্থন থাকবে। চলমান শিক্ষার্থীদের যেকোন দাবী দাওয়া আদায়ে আমরা কাজ করে যাবো ইনশাআল্লাহ।

বাংলাদেশ গণতান্ত্রিক ছাত্রসংসদ ঢাকা কলেজ শাখার সদ্য ঘোষিত সদস্য সচিব মো. সজিব উদ্দিন বলেন, শিক্ষা ঐক্য মুক্তি এই স্লোগানে ও জুলাই গনঅভ্যুত্থানের মূলধারাকে ধারণ করে গড়ে উঠা ছাত্র সংগঠন বাংলাদেশ গণতান্ত্রিক ছাত্রসংসদ।  ঢাকা কলেজ শাখার সদস্য সচিব হয়ে মনে করছি যে ভবিষ্যতে শিক্ষার্থীদের সকল যৌক্তিক কাজে এগিয়ে আসার সুযোগ তৈরি হয়েছে। যা যথার্থ রাখার অঙ্গীকার করছি। ক্যাম্পাস কেন্দ্রীক সঠিক ছাত্ররাজনীতি ও ছাত্রসংসদ নির্বাচনের মাধ্যমে শিক্ষার্থীদের প্রাণের দাবি দাওয়াগুলো নিয়ে আমরা সবসময় সোচ্চার থাকব।

শিক্ষার্থীদের ওপর হামলা বিএমইউ’র চিকিৎসকসহ ৩৪ কর্মকর্তা-কর্মচারীকে চাকরিচ্যুতির সিদ্ধান্ত

নিজস্ব প্রতিবেদক.

বৈষম্যবিরোধী ছাত্র-জনতার ওপর হামলার ঘটনায় বাংলাদেশ মেডিকেল বিশ্ববিদ্যালয়ের (বিএমইউ) ৩৪ জন কর্মকর্তা-কর্মচারীকে চাকরি থেকে বহিষ্কারের সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়েছে। বিশ্ববিদ্যালয়ের নিয়মিত সিন্ডিকেট সভায় এ সিদ্ধান্ত নিয়েছে বিশ্ববিদ্যালয় প্রশাসন। সিন্ডিকেট সূত্র বলছে, গত বছরের ৪ আগস্ট আন্দোলন চলাকালে তাদের বিরুদ্ধে ছাত্র-জনতার ওপর নৃশংস হামলা, বিশ্ববিদ্যালয়ে অগ্নিসংযোগ ও ভাঙচুর, এমনকি বিশ্ববিদ্যালয়ের কেবিন ব্লকের সামনে এক ছাত্রকে পিটিয়ে হত্যাচেষ্টার সুস্পষ্ট প্রমাণ মিলেছে।অন্তর্বর্তী সরকার ক্ষমতা গ্রহণের পর বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিব মেডিকেল বিশ্ববিদ্যালয়ের (বিএসএমএমইউ) নাম পরিবর্তন করে রাখা হয় বাংলাদেশ মেডিকেল বিশ্ববিদ্যালয় (বিএমইউ)।খোঁজ নিয়ে জানা গেছে, চাকরিচ্যুতদের মধ্যে আওয়ামী লীগ সমর্থিত চিকিৎসকদের সংগঠন স্বাধীনতা চিকিৎসক পরিষদের (স্বাচিপ) বেশ কয়েকজন নেতাসহ আওয়ামী লীগ সমর্থিতরা রয়েছেন। এসব শিক্ষক, চিকিৎসক, নার্স ও কর্মকর্তা-কর্মচারীদের বিরুদ্ধে চার ধরনের অপরাধের প্রমাণ পেয়েছে গঠিত বিশ্ববিদ্যালয়ের তদন্ত কমিটি। এর মধ্যে কেবিন ব্লকের সামনে একজন ছাত্রকে পিটিয়ে হত্যাচেষ্টার সঙ্গে জড়িত ছিলেন ১৫ জন, ছাত্র-জনতার সঙ্গে মারামারিতে জড়িত ছিলেন প্রায় শতাধিক শিক্ষক, চিকিৎসক ও কর্মকর্তা-কর্মচারী। নেপথ্যে থেকে ওই ঘটনার নেতৃত্বদান ও পরিকল্পনাকারী ছিলেন ২৩ জন।২০২৪ সালের ৪ আগস্ট। দেশব্যাপী বৈষম্যবিরোধী ছাত্র-জনতার শান্তিপূর্ণ আন্দোলনের ঢেউ ছড়িয়ে পড়ে রাজধানীর শাহবাগে অবস্থিত বাংলাদেশ মেডিকেল বিশ্ববিদ্যালয় (তৎকালীন বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিব মেডিকেল বিশ্ববিদ্যালয়) এলাকায়। সেদিন দুপুরে কেবিন ব্লকের সামনে একদল চিকিৎসক, নার্স ও কর্মকর্তা-কর্মচারী মিলে চড়াও হন আন্দোলনরত ছাত্রদের ওপর। উপস্থিত সাংবাদিকদের ক্যামেরায় ধরা পড়ে ভয়ংকর সব দৃশ্য। সেখানে দেখা যায়, এক শিক্ষার্থীকে পিটিয়ে রক্তাক্ত করে মাটিতে ফেলে দেওয়া হচ্ছে। এছাড়া ৩০টিরও বেশি গাড়ি-অ্যাম্বুলেন্স জ্বালিয়ে দেওয়া হচ্ছে। ভাঙচুর থেকে রক্ষা পায়নি প্রশাসনিক ভবন ও অফিস কক্ষ। এমনকি মূল্যবান যন্ত্রপাতি লুটপাটের ঘটনাও ঘটেছে।

বিশ্ববিদ্যালয় প্রশাসন পরে জানায়, সেদিনকার ঘটনায় বিশ্ববিদ্যালয়ের কেবিন ব্লকের সামনে এক ছাত্রকে পিটিয়ে হত্যাচেষ্টার সুস্পষ্ট ভিডিও প্রমাণ; ক্যাম্পাসে অগ্নিসংযোগ, মারামারি, ভাঙচুর ও লুটপাটে শতাধিক কর্মকর্তা-কর্মচারীর সম্পৃক্ততা পাওয়া গেছে।

ওই ঘটনার ঠিক পরের সপ্তাহে বাংলাদেশ মেডিকেল বিশ্ববিদ্যালয় কর্তৃপক্ষ কয়েকজনকে সাময়িক বরখাস্ত করে। আর চলতি বছরের জানুয়ারিতে শাহবাগ থানায় দায়ের করা মামলায় তদন্ত প্রতিবেদন যুক্ত করে অভিযুক্তদের বিরুদ্ধে আইনি ব্যবস্থা গ্রহণের পথ খুলে দেওয়া হয়।বাংলাদেশ মেডিকেল বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষার্থী হত্যাচেষ্টা, মারধর ও ভাঙচুরের ঘটনায় গঠিত ১৪ সদস্যের তদন্ত কমিটি টানা ৩৬টি সভা করে চূড়ান্তভাবে ৩৪ জন চিকিৎসক, কর্মকর্তা ও কর্মচারীর সংশ্লিষ্টতা নিশ্চিত করে। বিশ্ববিদ্যালয়ের ‘দক্ষতা ও শৃঙ্খলা অধ্যাদেশ’ এর ৮ (ক) (২) ধারা অনুযায়ী গঠিত কমিটির সভাপতি ছিলেন উপ-উপাচার্য (গবেষণা ও উন্নয়ন) অধ্যাপক ডা. মো. কুদরত-এ-খুদা তালুকদার। তার সঙ্গে ছিলেন মেডিসিন, ফিজিওলজি, বায়োকেমিস্ট্রি, মাইক্রোবায়োলজি, অ্যানাটমি বিভাগের বিভাগীয় প্রধানরা। ছিলেন ফ্যাকাল্টি অব মেডিকেল টেকনোলজি ও ফিজিওথেরাপি অ্যান্ড রিহ্যাবিলিটেশন অনুষদের ডিন, ঢাকা মেডিকেল কলেজের উপাচার্য প্রতিনিধি, বিশ্ববিদ্যালয়ের রেজিস্ট্রার (পরিকল্পনা ও উন্নয়ন) এবং নাগরিক নিরাপত্তা, চিকিৎসা সহায়তা ও শৃঙ্খলা কমিটির জ্যেষ্ঠ সদস্যরা।

কমিটির সদস্যরা ওই সময়ের ভিডিও ফুটেজ, নিরাপত্তা প্রতিবেদনের বিশ্লেষণ, প্রত্যক্ষদর্শী ও আহতদের জবানবন্দি এবং অভিযুক্তদের লিখিত ব্যাখ্যা বিশ্লেষণ করে চূড়ান্ত সিদ্ধান্তে পৌঁছান। তদন্তে দেখা গেছে, অভিযুক্তদের একাংশ সরাসরি হামলায় অংশ নেয়, কেউ-বা নেপথ্যে থেকে নেতৃত্ব ও পরিকল্পনা দেয়, আবার কেউ নিরাপত্তা ও প্রশাসনিক ব্যবস্থা ধ্বংসে ভূমিকা রাখে।

এমনকি তদন্তের ভিত্তিতে কমিটি দুই দফায় শিক্ষার্থী হত্যাচেষ্টা, হামলা ও অগ্নিসংযোগের ঘটনায় ৩৪ জন শিক্ষক, চিকিৎসক, নার্স ও কর্মকর্তা-কর্মচারীর বিরুদ্ধে ‘চূড়ান্তভাবে অপরাধ প্রমাণিত’ হয়েছে বলে সুপারিশ করেছে। বিশ্ববিদ্যালয়ের শৃঙ্খলা ও দক্ষতা অধ্যাদেশ অনুযায়ী, তাদের প্রত্যেককে চাকরি থেকে ‘পদচ্যুত’ বা ‘চূড়ান্তভাবে বরখাস্ত’ করার প্রস্তাব করে কমিটি।

কমিটির প্রতিবেদনে বলা হয়, হামলার সময় বিশ্ববিদ্যালয়ের কেবিন ব্লকের সামনে এক শিক্ষার্থীকে ‘প্রাণনাশের উদ্দেশ্যে’ যেভাবে নির্যাতন করা হয়, তার ভিডিও ফুটেজ ও সাক্ষ্য সুস্পষ্ট। ওই ঘটনায় ‘ক’ ক্যাটাগরির অন্তর্ভুক্ত ১৫ জন চিকিৎসক, নার্স ও কর্মকর্তা সরাসরি অংশ নিয়েছেন। তাদের বিরুদ্ধে বিশ্ববিদ্যালয়ের দক্ষতা ও শৃঙ্খলা অধ্যাদেশের ৫ (ঘ), ৫ (ঝ) এবং ৫ (ট) ধারায় আনীত অভিযোগ প্রমাণিত হওয়ায়, তাদের চাকরি থেকে স্থায়ীভাবে পদচ্যুত করার সুপারিশ করেছে কমিটি। বিশ্ববিদ্যালয়ের ইতিহাসে এটিই সবচেয়ে বড় সংখ্যক চিকিৎসক-কর্মকর্তার একযোগে চাকরিচ্যুতির সুপারিশ।

এছাড়া ‘খ’ ক্যাটাগরিতে থাকা ২৩ জনের মধ্যে ১৯ জনের বিরুদ্ধে সরাসরি ছাত্র-জনতার ওপর হামলা, ভাঙচুর ও গাড়িতে অগ্নিসংযোগে অংশ নেওয়ার অকাট্য প্রমাণ পেয়েছে তদন্ত কমিটি। ভিডিও ফুটেজ, প্রত্যক্ষদর্শী ও বিশ্ববিদ্যালয়ের সিসিটিভি রেকর্ড বিশ্লেষণে দেখা গেছে, ওই ব্যক্তিরা হামলার সময় সক্রিয়ভাবে অংশগ্রহণ করেন। তাদের ক্ষেত্রেও অধ্যাদেশের ৬ (ঠ) ধারা অনুযায়ী চাকরি থেকে পদচ্যুত করার সুপারিশ করা হয়েছে। বিশ্ববিদ্যালয়ের রেকর্ড অনুযায়ী, তাদের মধ্যে অনেকেই চিকিৎসক ও প্রশাসনিক পদে দীর্ঘদিন কর্মরত ছিলেন।

তদন্ত কমিটির সুপারিশ অনুযায়ী গত শনিবার (৩১ মে) অনুষ্ঠিত বিশ্ববিদ্যালয়ের নিয়মিত সিন্ডিকেট সভায় ৩৪ জনকে চাকরিচ্যুত করার সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়। এর মধ্যে ‘ক’ ক্যাটাগরিতে শিক্ষার্থীকে পিটিয়ে হত্যাচেষ্টায় সরাসরি জড়িতদের এবং ‘খ’ ক্যাটাগরিতে ছাত্র-জনতার ওপর হামলা, ভাঙচুর, গাড়িতে আগুন দেওয়ার ঘটনায় জড়িতদের শাস্তির সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়।

‘ক’ ক্যাটাগরিতে অভিযুক্ত ১৫ জন হলেন- প্যালিয়েটিভ কেয়ার মেডিসিন বিভাগের মেডিক্যাল অফিসার ডা. আবু তোরাব মীম, চর্ম ও যৌন রোগ বিভাগে মেডিকেল অফিসার ডা. মোহাম্মদ রিয়াদ সিদ্দিকী, পরিচালক (হাসপাতাল) অফিসের পেইন্টার নিতীশ রায় ও মো. সাইফুল ইসলাম, এমএলএসএস মেহেদী কাজী, সহকারী ড্রেসার মো. শহিদুল ইসলাম, সুইপার সন্দীপ দাস, রেসপিরেটরি মেডিসিন বিভাগের অফিস সহকারী উজ্জ্বল মোল্ল্যা, পরিবহন শাখার ড্রাইভার সুজন বিশ্ব শর্মা, ওপিডি-১ এর এমএলএসএস ফকরুল ইসলাম জনি, ল্যাবরেটরি সার্ভিস সেন্টারের কাস্টমার কেয়ার অ্যাটেনডেন্ট রুবেল রানা, ওয়ার্ড মাস্টার অফিসের এমএলএসএস শাহাদাত, সুপার স্পেশালাইজড হাসপাতালে সিনিয়র স্টাফ নার্স শবনম নূরানী, ওয়ার্ড মাস্টার অফিসের এমএলএসএস মো. আনোয়ার হোসেন এবং কার্ডিওলজি বিভাগের এমএলএসএস মো. মুন্না আহমেদ।

‘খ’ ক্যাটাগরিতে অভিযুক্ত ১৯ জন হলেন- ইউরোলজি বিভাগের অধ্যাপক ডা. মো. হাবিবুর রহমান, সহযোগী অধ্যাপক ডা. ফারুক হোসেন, নিউরোলজি বিভাগের অধ্যাপক ডা. মো. আহসান হাবিব, ক্লিনিক্যাল অনকোলজি বিভাগের চেয়ারম্যান অধ্যাপক ডা. মো. নাজির উদ্দিন মোল্লাহ, নিউরোলজি বিভাগের অধ্যাপক ডা. সুভাষ কান্তি দে, অনকোলজি বিভাগের মেডিক্যাল অফিসার ডা. মোহাম্মদ জাহান শামস্, সার্জারি বিভাগের সহযোগী অধ্যাপক ডা. মো. নূর-ই-এলাহী, অটোল্যারিংগোলজি- নাক কান গলা বিভাগের সহকারী অধ্যাপক ডা. হাসানুল হক, শিশু নিউরোসার্জারি বিভাগের সহযোগী অধ্যাপক ডা. কে এম তারিকুল ইসলাম, রেডিওলজি অ্যান্ড ইমেজিং বিভাগের সহযোগী অধ্যাপক ডা. আশীষ কুমার সরকার, গ্যাস্ট্রোএন্টারোলজি বিভাগের সহকারী অধ্যাপক ডা. শেখ আব্দুল্লাহ আল-মামুন, নিউরোসার্জারি বিভাগের সহকারী অধ্যাপক ডা. মো. শাহনেওয়াজ বারী, কার্ডিওলজি বিভাগের মেডিকেল অফিসার ডা. অমল কুমার ঘোষ, রেডিওলজি অ্যান্ড ইমেজিং বিভাগের মেডিকেল অফিসার ডা. পবিত্র কুমার দেবনাথ।

এছাড়া এ্যানেসথেসিওলজি বিভাগের সহকারী অধ্যাপক ডা. মোহাম্মদ আশরাফুজ্জামান, জেনারেল সার্জারি বিভাগের মেডিকেল অফিসার ডা. মাঈদুল হাসান, অর্থোপেডিক্স সার্জারি বিভাগের গবেষণা সহকারী/স্ব-বেতনে কনসালটেন্ট ডা. মোহাম্মদ তারিকুল মতিন, ওরাল অ্যান্ড ম্যাক্সিলোফেশিয়াল সার্জারি বিভাগের মেডিকেল অফিসার ডা. মো. ওমর ফারুক এবং গ্যাস্ট্রোএন্টারোলজি বিভাগের মেডিকেল অফিসার ডা. মোহাম্মদ কুতুবউদ্দিন।

তদন্ত প্রতিবেদনে ‘খ’ ক্যাটাগরি তালিকায় ২৩ জনের নাম আসলেও তাদের মধ্য থেকে চারজনের বিষয়ে অধিকতর তদন্ত করে পরবর্তীতে চূড়ান্ত সিদ্ধান্ত নিতে বলা হয়েছে। তারা হলেন- অনকোলজি বিভাগের অধ্যাপক ডা. মো. জিল্লুর রহমান ভূইয়া, নিউরোসার্জারি বিভাগের মেডিকেল অফিসার ডা. মো. মনোয়ার হোসেন, সহকারী পরিচালক ও উপ-পরিচালক (হাসপাতাল) ডা. মো. বেলাল হোসেন সরকার এবং প্রন্থোডনটিক্স বিভাগের সহকারী অধ্যাপক ডা. মোহাম্মদ আবিদ।

তদন্ত কমিটি আরও বলেছে, অভিযুক্তরা শুধুমাত্র বিশ্ববিদ্যালয়ের নীতিমালাই লঙ্ঘন করেননি বরং ফৌজদারি অপরাধের সঙ্গেও যুক্ত হয়েছেন। অগ্নিসংযোগ, ভাঙচুর, শারীরিক নির্যাতন ও হত্যাচেষ্টার মতো ঘটনা বাংলাদেশ দণ্ডবিধির আওতাভুক্ত গুরুতর অপরাধ। সেই পরিপ্রেক্ষিতে অভিযুক্তদের বিরুদ্ধে ফৌজদারি মামলা দায়ের এবং তদন্তের জন্য আইনশৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনীর নিকট তাদের প্রোফাইল, প্রমাণ ও তদন্ত প্রতিবেদন হস্তান্তর করার সুপারিশ করেছে কমিটি।

তদন্ত কমিটি বলছে, তারা কোনো রাজনৈতিক বিবেচনায় নয় বরং কেবল প্রমাণের ভিত্তিতে সিদ্ধান্তে পৌঁছেছেন। কমিটির একাধিক সদস্যের ভাষ্যমতে, অভিযুক্তদের আত্মপক্ষ সমর্থনের বক্তব্য ছিল গতানুগতিক ও অসংলগ্ন এবং ঘটনাস্থল সম্পর্কিত কোনো সুনির্দিষ্ট বা কার্যকর প্রমাণ উপস্থাপন করতে তারা ব্যর্থ হয়েছেন। কমিটি তাদের প্রতিবেদনে জানায়, সংশ্লিষ্টদের আত্মপক্ষ সমর্থনমূলক বক্তব্য ছিল প্রমাণহীন ও দুর্বল। কেউই ঘটনার সত্যতা অস্বীকার করতে পারেননি বা ঘটনার সময়ে নিজেদের অবস্থান নিশ্চিত করার মতো গ্রহণযোগ্য তথ্য দিতে পারেননি।

তদন্ত প্রতিবেদনে আরও বলা হয়েছে, অভিযুক্তদের জবাব চাওয়া হলে তাদের মধ্যে ১৮ জন পেনড্রাইভ ও সিডিতে ভিডিও জমা দেন; যেগুলো তদন্তে ‘একই উৎস থেকে তৈরি, এডিটেড এবং ঘটনাস্থলের সাথে সরাসরি সম্পর্কহীন’ বলে চিহ্নিত হয়েছে। এ প্রসঙ্গে তদন্ত কমিটি বলছে, একাধিক অভিযুক্ত একই ভিডিও কনটেন্ট আলাদা আলাদা হিসেবে জমা দিয়েছেন, যা ঘটনাটির প্রকৃত প্রেক্ষাপট বা দোষ নির্ধারণে কোনোভাবেই সহায়ক নয়। বরং এটি বিভ্রান্তি সৃষ্টির প্রচেষ্টা হতে পারে। এমনকি কমিটি জানায়, তদন্তের সময় অভিযুক্তদের পাঠানো বিভাগীয় হাজিরা শিট, ছবি বা চেয়ারম্যানের প্রত্যয়নপত্রও পরীক্ষা করে দেখা হয়। এসব তথ্যে বেশিরভাগ ক্ষেত্রে অভিযুক্তরা ঘটনার দিন ক্যাম্পাসে ছিলেন— এ বিষয়ে প্রমাণ পাওয়া যায়।

কমিটির এক সিনিয়র সদস্য নাম প্রকাশ না করার শর্তে বলেন, ‘একাধিকবার যাচাই-বাছাই ও প্রত্যক্ষ তথ্য-প্রমাণ বিশ্লেষণ করে আমরা তদন্ত প্রতিবেদন ও সুপারিশ প্রস্তুত করেছি। গত জুলাই-আগস্টে দেশে ঘটে যাওয়া ভয়াবহ ঘটনার সঙ্গে বাংলাদেশ মেডিকেল বিশ্ববিদ্যালয়ের কতিপয় চিকিৎসকসহ কর্মকর্তা-কর্মচারীদের সরাসরি সম্পৃক্ততা পাওয়া গেছে— এটা আমাদের জন্য অত্যন্ত লজ্জার।’

তিনি বলেন, ‘মেডিকেল বিশ্ববিদ্যালয় একটি সেবামূলক ও গবেষণাধর্মী প্রতিষ্ঠান। এখানে যারা আসেন, তাদের উদ্দেশ্য হওয়া উচিত মানুষের সেবা, জ্ঞানচর্চা এবং মানবিকতা। কিন্তু এ প্রতিষ্ঠানে চিকিৎসক পরিচয়ে কেউ কেউ রাজনৈতিক হিংসা ও দমন-পীড়নের অংশ হয়েছেন, এমনকি শিক্ষার্থীদের ওপর হামলা চালিয়েছেন। এর চেয়ে দুঃখজনক আর কিছু হয় না। এ কারণে আমরা সুপারিশ তৈরির সময় বিশেষভাবে খেয়াল রেখেছি যেন ভবিষ্যতে বিশ্ববিদ্যালয়ের কেউই দায়িত্ব-কর্তব্য ভুলে গিয়ে ধ্বংসাত্মক কর্মকাণ্ডে যুক্ত না হয়।’

বাংলাদেশ মেডিকেল বিশ্ববিদ্যালয়ের (বিএমইউ) একজন শীর্ষ কর্মকর্তা ও সিন্ডিকেট সদস্য  জানান, এখন পর্যন্ত দুই দফায় ৩৪ জন কর্মকর্তাকে চাকরিচ্যুত করার সিদ্ধান্ত হয়েছে। তবে, এখানেই তদন্ত থেমে নেই। তার ভাষ্য অনুযায়ী, ‘মূলত তদন্ত কমিটির দেওয়া প্রতিবেদন অনুযায়ী ৩৮ জনের অভিযোগ নিয়ে আলোচনা হয়েছে। তদন্তাধীন চারজনকে আপাতত তালিকা থেকে বাদ দেওয়া হয়েছে। তাদের বিষয়ে আরও যাচাই চলছে। বিশেষ করে দ্বিতীয় দফার সিদ্ধান্তে যেসব চিকিৎসক চাকরিচ্যুত হয়েছেন, তাদের ভূমিকা ছিল অনেক বেশি উদ্বেগজনক।’

ওই কর্মকর্তা আরও বলেন, ‘তদন্ত এখনও অব্যাহত রয়েছে। বিশ্ববিদ্যালয় প্রশাসন এখন নজর দিচ্ছে অন্যান্য সহায়ক কর্মী— যেমন নার্স, ওয়ার্ডবয়, মেডিকেল অ্যাসিস্ট্যান্ট ও প্রশাসনিক কর্মচারীদের ভূমিকার দিকেও। হয়তো আগামী সিন্ডিকেট সভায় সেই তালিকাও আসবে। তখন তাদের বিষয়েও চূড়ান্ত সিদ্ধান্ত নেওয়া হবে।’শিক্ষার্থীদের ওপর সহিংসতার প্রসঙ্গে এ সিন্ডিকেট সদস্য বলেন, ‘হামলাটি ছিল অত্যন্ত সুপরিকল্পিত। আমরা দেখতে পেয়েছি, কিছু চিকিৎসক ও প্রশাসনিক কর্মকর্তা সরাসরি বা পরোক্ষভাবে এতে জড়িত ছিলেন। এমন ঘটনায় শুধু বিশ্ববিদ্যালয়ের ভাবমূর্তি নয়, পুরো স্বাস্থ্যব্যবস্থার ওপর একটা কালো দাগ লেগেছে।’বিশ্ববিদ্যালয়ের সাম্প্রতিক সিদ্ধান্ত এবং তদন্ত প্রসঙ্গে যোগাযোগ করা হলে উপাচার্য অধ্যাপক ডা. শাহিনুল আলম প্রথমে কোনো মন্তব্য করতে রাজি হননি। বলেন, ‘এই মুহূর্তে কিছু বলতে চাই না।’ বিষয়টি নিয়ে বারবার অনুরোধ করা হলে তিনি বলেন, ‘তদন্ত কমিটি স্বচ্ছভাবে কাজ করেছে, কোনো রাজনৈতিক প্রভাব বা ব্যক্তিগত বিবেচনা এখানে কাজ করেনি। আমরা তদন্ত কমিটির সুপারিশ সিন্ডিকেটে আলোচনা করেছি এবং সেখানকার সিদ্ধান্ত অনুযায়ী প্রশাসনিকভাবে কার্যক্রম শুরু করেছি।’

Back to top button