Uncategorized

নবীনগরে সংঘর্ষে নিহত ও অগ্নি সংযোগের ঘটনায় সহস্ত্রাধীক ব্যক্তিকে আসামী করে মামলা গ্রেফতার ৫।

নিজস্ব প্রতিবেদকঃ

ব্রাহ্মণবাড়িয়ার নবীনগরে দু- গ্রাম বাসীর সংঘর্ষে একজন নিহত ও বাড়ি ঘরে অগ্নি সংযোগের ঘটনায় পৃথক দুই মামলায় সহস্ত্রাধীক ব্যক্তিকে আসামী করে মামলা করা হয়েছে।গত রবিবার রাতে নিহত শীতল মিয়া মেয়ে তাহমিনা আক্তার বাদী হয়ে স্থানীয় চেয়ারম্যান লুৎফর রহমান লাল মিয়াকে প্রধান আসামী করে তিয়াত্তর জনের নামে একটি হত্যা মামলা করেন। এছাড়াও ওই মামলায় আরো ৪৫০ জনকে অজ্ঞানামা আসামী করা হয়েছে। একই ঘটনায় পুলিশ আহত হওয়ায় চেয়ারম্যানের ছেলে মানিক মিয়াকে প্রধান আসামী করে ৪৬ জন এজাহার ভুক্ত ও অজ্ঞানামা আরো ছয়শত নারী পুরুষকে আসামী করে পুলিশ বাদী হয়ে মামলা করেন। এসব মামলায় এ পর্যন্ত তিনজনকে গ্রেফতার করা হয়েছে। গ্রেফতারকৃতরা হচ্ছে,ধরাভাঙ্গা গ্রামের জালাল মিয়ার ছেলে সুমন মিয়া (৩০)একই গ্রামের নসা মিয়ার ছেলে,তাবুল মিয়া (৩১) ও মৃত দুলাল মিয়ার ছেলে সজল মিয়া (৩৫),জামাল মিয়া (২৮), ও আল আমিন (২৬)। প্রসঙ্গতঃ-উপজেলার বড়িকান্দি ইউনিয়নের মুক্তারামপুর ধরাভাঙ্গা রোডে গত শুক্রবার সন্ধ্যায় পিকআপ থেকে জিপি উত্তোলন কে কেন্দ্র করে মুক্তারামপুর গ্রামের কবির মিয়ার ছেলে ইব্রাহিম মিয়ার সাথে ধরাভাঙ্গা গ্রামের সলিমগঞ্জ বাজারের লাইন ম্যান রহিম মিয়ার কথা কাটাকাটির এক পর্যায়ে হাতাহাতির ঘটনা ঘটে।এই ঘটনার জের ধরে গত শনিবার সকালে ধরাভাঙ্গা গ্রামের চেয়াারম্যানের ছেলে মানিক মিয়া ও খোকন মিয়াকে মারধর করে। মারধরের খবর ধরাভাঙ্গা গ্রামের ছড়িয়ে পড়লে ধরাভাঙ্গা গ্রামের লোকজন চেয়াারম্যানের ছেলে মানিক মিয়া ও ড্রাম বাবুর নেতৃত্বে দেশীয় অস্ত্রশস্ত্র নিয়ে মুক্তারামপুর গ্রামে হামলা চালায়। এ সময় মুক্তারামপুর গ্রামের পশ্চিম পাড়ার মৃত কানু মিয়ার ছেলে শীতল মিয়াকে পিটিয়ে হত্যা করে হামলাকারীরা,এসময় ছয়টি বসতঘরে পেট্রোল দিয়ে আগুন ধরিয়ে দেওয়া হয়। এ ব্যাপারে নবীনগর থানার অফিসার ইনচার্জ সাইফুদ্দিন আনোয়ার জানায় হত্যা অগ্নিসংযোগ ও পুলিশের উপর হামলার ঘটনায় পৃথক দুইটি মামলা হয়েছে। নিহতের মেয়ে তাহমিনা আক্তর বাদী হয়ে একটি হত্যা মামলা করেছে এবং পুলিশের উপর হামলার ঘটনায় পুলিশ বাদী হয়ে একটি মামলা করা হয়েছে। এ ঘটনায় ৫ জনকে গ্রেফতার করা হয়েছে। বাকিদের গ্রেফতারের অভিযান অব্যহত রয়েছে।

Back to top button