ঢাকা , সোমবার, ০৮ ডিসেম্বর ২০২৫, ২৪ অগ্রহায়ণ ১৪৩২ বঙ্গাব্দ
শিরোনাম ::
বহাল তবিয়তে দূর্নীতিবাজ নির্বাহী প্রকৌশলী ও ২ উপ প্রকৌশলী। । বগুড়ার পাউবো এর সদ্য বিদায়ী নির্বাহী প্রকৌশলী নাজমুল হকের সীমাহীন দূর্নীতির বিরুদ্ধে অভিযোগ। চাঁদাবাজি,মাদক ব্যবসা,ভূমিদস্যুতা,ত্রাস সৃষ্টির অভিযোগ মুহিত তালুকদারের বিরুদ্ধে। বগুড়ার শেরপুর পৌর প্রকৌশলী এসএম শফিকুলের বিরুদ্ধে উপদেষ্টা সহ বিভিন্ন দপ্তরের অভিযোগ। বগুড়ার পানি উন্নয়ন বোর্ডের দুই উপ প্রকৌশলী হুমায়ুন ও আসাদুলের বিরুদ্ধে দুদকে অভিযোগ। জুলাই আন্দোলনে ছাত্রজনতার উপর গুলি চালানো মামলার আসামি হলেন পতিত আওয়ামী লীগের ধূসর সোহাগ। নবীনগরে এড.মান্নান কে পেয়ে স্বস্তির নিঃশ্বাস সাধারণ ভোটারের। নবীনগর দুই আওয়ামীলীগ নেতা গ্রেফতার হাসিনা ও আসাদুজ্জামান খানের বিচার সুষ্ঠু ও ন্যায়সংগত কোনোটিই হয়নি: অ্যামনেস্টি ইন্টারন্যাশনাল আন্তর্জাতিক অপরাধ ট্রাইব্যুনালের রায়কে “পক্ষপাতদুষ্ট ও রাজনৈতিক উদ্দেশ্যপ্রণোদিত-শেখ হাসিনা
নোটিশ :
আমাদের ওয়েবসাইটে আপনাকে স্বাগতম। আপডেট নিউজ থিমটি ক্রয় করতে আমাদের কল করুন 01732667364। আমাদের আরো নিউজ থিম দেখতে ভিজিট করুন www.themesbazar.com

বহাল তবিয়তে দূর্নীতিবাজ নির্বাহী প্রকৌশলী ও ২ উপ প্রকৌশলী। ।

  • Reporter Name
  • আপডেট সময় ১০:৫৬:১২ অপরাহ্ন, বুধবার, ৩ ডিসেম্বর ২০২৫
  • ৮৭ বার পড়া হয়েছে

স্টাফ রিপোর্টারঃ বগুড়া জেলার পানি উন্নয়ন বোর্ডের সদ্য বিদায়ী নির্বাহী প্রকৌশলী নাজমুল হক ও তার দুই সহযোগী উপ বিভাগীয়  প্রকৌশলী সারিয়াকান্দি পানি উন্নয়ন উপ বিভাগের  হুমায়ুন কবির ও উপ বিভাগীয় প্রকৌশলী বগুড়া পানি উন্নয়ন উপ বিভাগ-১ এর  আসাদুল হকের বিরুদ্ধে সীমাহীন দূর্নীতির সন্ধান পাওয়া গেছে।

 তথ্য সূত্রে জানা যায়,বিগত আওয়ামী লীগ সরকারের সময় এই  কর্মকর্তা পছন্দের ঠিকাদারদের দিয়ে নামমাত্র কাজ করিয়ে কিংবা কোনো কোনো ক্ষেত্রে একেবারেই কাজ না করেই প্রকল্পের টাকা তুলে নেয় পাউবো বগুড়া থেকে বদলি হওয়া নির্বাহী প্রকৌশলী নাজমুল হক ও তার সহযোগী দুই উপ প্রকৌশলী  । শুধু তাই নয়, নিজেরাই পাউবোর লাইসেন্স ভাড়া নিয়ে গোপনে দরপত্র নিয়ন্ত্রণ করে কাজ ভাগ করে তারা । এমনকি কাজ না করেই  বিল উত্তোলন করে, যা একেকটি প্রকল্পে কোটি টাকার অনিয়মে পরিণত হয়েছে।

‎২০২৩-২৪ অর্থবছরে এনডিআর কর্মসূচির আওতায় প্রকাশিত ৭৭টি গ্রুপ টেন্ডারে (যার মোট প্রাক্কলিত ব্যয় প্রায় ১২ কোটি ৩৯ লাখ টাকা) মাত্র ৮-১০ জন নিয়মিত ঠিকাদারকে অল্প কিছু কাজ দেয়। বাকি কাজ নিজেদের  পছন্দের ঠিকাদারদের দিয়ে সম্পন্ন করে। তথ্য মতে, এসব ঠিকাদারদের অনেকেই আওয়ামী লীগের প্রভাবশালী নেতাদের ঘনিষ্ঠ। নির্বাহী প্রকৌশলী নিজে লাইসেন্স ভাড়া নিয়ে  ও বাকী দুই উপ প্রকৌশলীর  সহযোগিতায় কাজ হাতিয়ে নেন এবং সেই কাজও আংশিক কিংবা একেবারেই সম্পন্ন হয়নি ।

এছাড়া,সারিয়াকান্দি,  ইছামারা ও কামালপুরসহ বিভিন্ন এলাকায় ‘জরুরি কাজ’ দেখিয়ে বারবার একই জায়গায় বরাদ্দ নেয় তারা । বাস্তবে এসব কাজ হয় আংশিক হয়েছে, নয়তো একেবারেই হয়নি। এইভাবে বারবার একই প্রকল্পের নামে বিপুল পরিমাণ অর্থ উত্তোলন করে তারা। ২০২৩ সালের নভেম্বর-ডিসেম্বর মাসে এলটিএম পদ্ধতিতে প্রকাশিত ২০টি গ্রুপ টেন্ডারের (প্রাক্কলিত ব্যয় প্রায় ২ কোটি টাকা) কাজও সম্পূর্ণভাবে শেষ না করেই বিল উত্তোলন করে।

পানি উন্নয়ন মন্ত্রণালয়ের সাবেক সচিব কবির বিন আনোয়ার, সাবেক মন্ত্রী ও আওয়ামী লীগ নেতা শেখ ফজুলল করিম সেলিম, সাবেক পানি সম্পদমন্ত্রী জাহিদ ফারুক এবং স্থানীয় সংসদ সদস্য রাগেবুল আহসান রিপু ও সাহাদারা মান্নানের সহযোগিতায় ২০২২-২৩ ও ২০২৩-২৪ অর্থবছরে টেন্ডার ছাড়াই প্রায় ১০০ কোটি টাকার ‘জরুরি প্রকল্পের’ কাজ অনুমোদন করিয়ে ফেলে।

‎এসব কাজের বাস্তব অগ্রগতি মাত্র ২০ শতাংশ হলেও সম্পূর্ণ বিল উত্তোলন করেছে। এছাড়া চলিত বছরের শুরুর দিকের দরপত্র নং ১১৩৮৮৭৭,১১৩৮৮৮১,১১৩৮৮৮২,১১৩৮৮৮৪,১১৩৮৮৮৫,১১৩৮৮৮৬,১১৩৮৮৮৭, ১১৩৮৮৮৮এর প্রকল্প থেকেও টেন্ডার বাণিজ্য করে হাতিয়ে নিয়েছে কোটি কোটি টাকা। এসকল অপকর্ম করে রাজশাহী বিভাগের কোন একটি জেলা সদ্য বদলি হয়েছে নির্বাহী  প্রকৌশলী মো. নাজমুল হকের কিন্তু বহাল তবিয়তে রয়ে হুমায়ুন ও আসাদুল হক। তারা তাদের উপার্জিত দূর্নীতির অর্থ দিয়ে  নামে-বেনামে বিপুল সম্পদ অর্জন করেছে। বগুড়ার শহরে  কোটি টাকা মূল্যের জমি ও বিলাসবহুল ফ্ল্যাট এবং ঢাকাসহ বিভিন্ন স্থানে সম্পদ  রয়েছে তাদের। এসব সম্পদের বেশির ভাগই তারা তাদের  স্বজনদের নামে কিনে রেখেছে।

নাম প্রকাশে অনিচ্ছুক একজন জানান,আঃলীগের দোসর নাজমুল হক নির্বাহী প্রকৌশলী, উপ-প্রকৌশলী হুমায়ুন কবির ও উপ-প্রকৌশলী আশাদুল হক,শত কোটি টাকা দুনীতি করে এখনো বহল তবিয়তে আছে,আঃলীগের পূর্নবাসনের জন্য প্রচুর অর্থ ব্যয় করেছে এবং সাবেক বগুড়া জেলা আঃলীগের সাধারণ সম্পাদক ও সাবেক এমপি রাকিবুল ইসলাম রিপুর আইনী সহযোগীতার সকল অর্থ,উপ-প্রকৌশলী হুমায়ুনের মাধ্যমে প্রদান করে।

এবিষয়ে একাধিক সাধারণ নাগরিক সহ সারিয়াকান্দির রফিকুল, বগুড়া সদরের মোস্তফা  জানান,সরকারি গুরুত্বপূর্ণ প্রকল্প বাস্তবায়নের নামে কোটি কোটি টাকা আত্মসাৎ করে শত কোটি টাকার মালিক হয়ে যাওয়া বগুড়া পানি উন্নয়ন বোর্ডের সদ্য বিদায়ী নির্বাহী প্রকৌশলী মোঃ নাজমুল হক ও তার দুই সহযোগীর  সীমাহীন দূর্নীতির বিরুদ্ধে  অভিযোগ দায়ের করেও কোন প্রতিকার নাও হওয়ায় তারা আরো দূর্নীতি করে চলছে ।যথাযথ কতৃপক্ষ বিষয়গুলো খতিয়ে দেখলে এরচেয়ে বেশি দূর্নীতির সন্ধ্যান পাবে তার।

সকল অভিযোগের বিষয়ে বারবার ফোন ও এসএমএস করে কোন উত্তর পাওয়া যায়নি বগুড়ার পাউবো এর এই তিন প্রকৌশলী কারো

ট্যাগস

আপনার মতামত লিখুন

Your email address will not be published. Required fields are marked *

আপনার ইমেইল ও অন্যান্য তথ্য সঞ্চয় করে রাখুন

আপলোডকারীর তথ্য

বহাল তবিয়তে দূর্নীতিবাজ নির্বাহী প্রকৌশলী ও ২ উপ প্রকৌশলী। ।

বহাল তবিয়তে দূর্নীতিবাজ নির্বাহী প্রকৌশলী ও ২ উপ প্রকৌশলী। ।

আপডেট সময় ১০:৫৬:১২ অপরাহ্ন, বুধবার, ৩ ডিসেম্বর ২০২৫

স্টাফ রিপোর্টারঃ বগুড়া জেলার পানি উন্নয়ন বোর্ডের সদ্য বিদায়ী নির্বাহী প্রকৌশলী নাজমুল হক ও তার দুই সহযোগী উপ বিভাগীয়  প্রকৌশলী সারিয়াকান্দি পানি উন্নয়ন উপ বিভাগের  হুমায়ুন কবির ও উপ বিভাগীয় প্রকৌশলী বগুড়া পানি উন্নয়ন উপ বিভাগ-১ এর  আসাদুল হকের বিরুদ্ধে সীমাহীন দূর্নীতির সন্ধান পাওয়া গেছে।

 তথ্য সূত্রে জানা যায়,বিগত আওয়ামী লীগ সরকারের সময় এই  কর্মকর্তা পছন্দের ঠিকাদারদের দিয়ে নামমাত্র কাজ করিয়ে কিংবা কোনো কোনো ক্ষেত্রে একেবারেই কাজ না করেই প্রকল্পের টাকা তুলে নেয় পাউবো বগুড়া থেকে বদলি হওয়া নির্বাহী প্রকৌশলী নাজমুল হক ও তার সহযোগী দুই উপ প্রকৌশলী  । শুধু তাই নয়, নিজেরাই পাউবোর লাইসেন্স ভাড়া নিয়ে গোপনে দরপত্র নিয়ন্ত্রণ করে কাজ ভাগ করে তারা । এমনকি কাজ না করেই  বিল উত্তোলন করে, যা একেকটি প্রকল্পে কোটি টাকার অনিয়মে পরিণত হয়েছে।

‎২০২৩-২৪ অর্থবছরে এনডিআর কর্মসূচির আওতায় প্রকাশিত ৭৭টি গ্রুপ টেন্ডারে (যার মোট প্রাক্কলিত ব্যয় প্রায় ১২ কোটি ৩৯ লাখ টাকা) মাত্র ৮-১০ জন নিয়মিত ঠিকাদারকে অল্প কিছু কাজ দেয়। বাকি কাজ নিজেদের  পছন্দের ঠিকাদারদের দিয়ে সম্পন্ন করে। তথ্য মতে, এসব ঠিকাদারদের অনেকেই আওয়ামী লীগের প্রভাবশালী নেতাদের ঘনিষ্ঠ। নির্বাহী প্রকৌশলী নিজে লাইসেন্স ভাড়া নিয়ে  ও বাকী দুই উপ প্রকৌশলীর  সহযোগিতায় কাজ হাতিয়ে নেন এবং সেই কাজও আংশিক কিংবা একেবারেই সম্পন্ন হয়নি ।

এছাড়া,সারিয়াকান্দি,  ইছামারা ও কামালপুরসহ বিভিন্ন এলাকায় ‘জরুরি কাজ’ দেখিয়ে বারবার একই জায়গায় বরাদ্দ নেয় তারা । বাস্তবে এসব কাজ হয় আংশিক হয়েছে, নয়তো একেবারেই হয়নি। এইভাবে বারবার একই প্রকল্পের নামে বিপুল পরিমাণ অর্থ উত্তোলন করে তারা। ২০২৩ সালের নভেম্বর-ডিসেম্বর মাসে এলটিএম পদ্ধতিতে প্রকাশিত ২০টি গ্রুপ টেন্ডারের (প্রাক্কলিত ব্যয় প্রায় ২ কোটি টাকা) কাজও সম্পূর্ণভাবে শেষ না করেই বিল উত্তোলন করে।

পানি উন্নয়ন মন্ত্রণালয়ের সাবেক সচিব কবির বিন আনোয়ার, সাবেক মন্ত্রী ও আওয়ামী লীগ নেতা শেখ ফজুলল করিম সেলিম, সাবেক পানি সম্পদমন্ত্রী জাহিদ ফারুক এবং স্থানীয় সংসদ সদস্য রাগেবুল আহসান রিপু ও সাহাদারা মান্নানের সহযোগিতায় ২০২২-২৩ ও ২০২৩-২৪ অর্থবছরে টেন্ডার ছাড়াই প্রায় ১০০ কোটি টাকার ‘জরুরি প্রকল্পের’ কাজ অনুমোদন করিয়ে ফেলে।

‎এসব কাজের বাস্তব অগ্রগতি মাত্র ২০ শতাংশ হলেও সম্পূর্ণ বিল উত্তোলন করেছে। এছাড়া চলিত বছরের শুরুর দিকের দরপত্র নং ১১৩৮৮৭৭,১১৩৮৮৮১,১১৩৮৮৮২,১১৩৮৮৮৪,১১৩৮৮৮৫,১১৩৮৮৮৬,১১৩৮৮৮৭, ১১৩৮৮৮৮এর প্রকল্প থেকেও টেন্ডার বাণিজ্য করে হাতিয়ে নিয়েছে কোটি কোটি টাকা। এসকল অপকর্ম করে রাজশাহী বিভাগের কোন একটি জেলা সদ্য বদলি হয়েছে নির্বাহী  প্রকৌশলী মো. নাজমুল হকের কিন্তু বহাল তবিয়তে রয়ে হুমায়ুন ও আসাদুল হক। তারা তাদের উপার্জিত দূর্নীতির অর্থ দিয়ে  নামে-বেনামে বিপুল সম্পদ অর্জন করেছে। বগুড়ার শহরে  কোটি টাকা মূল্যের জমি ও বিলাসবহুল ফ্ল্যাট এবং ঢাকাসহ বিভিন্ন স্থানে সম্পদ  রয়েছে তাদের। এসব সম্পদের বেশির ভাগই তারা তাদের  স্বজনদের নামে কিনে রেখেছে।

নাম প্রকাশে অনিচ্ছুক একজন জানান,আঃলীগের দোসর নাজমুল হক নির্বাহী প্রকৌশলী, উপ-প্রকৌশলী হুমায়ুন কবির ও উপ-প্রকৌশলী আশাদুল হক,শত কোটি টাকা দুনীতি করে এখনো বহল তবিয়তে আছে,আঃলীগের পূর্নবাসনের জন্য প্রচুর অর্থ ব্যয় করেছে এবং সাবেক বগুড়া জেলা আঃলীগের সাধারণ সম্পাদক ও সাবেক এমপি রাকিবুল ইসলাম রিপুর আইনী সহযোগীতার সকল অর্থ,উপ-প্রকৌশলী হুমায়ুনের মাধ্যমে প্রদান করে।

এবিষয়ে একাধিক সাধারণ নাগরিক সহ সারিয়াকান্দির রফিকুল, বগুড়া সদরের মোস্তফা  জানান,সরকারি গুরুত্বপূর্ণ প্রকল্প বাস্তবায়নের নামে কোটি কোটি টাকা আত্মসাৎ করে শত কোটি টাকার মালিক হয়ে যাওয়া বগুড়া পানি উন্নয়ন বোর্ডের সদ্য বিদায়ী নির্বাহী প্রকৌশলী মোঃ নাজমুল হক ও তার দুই সহযোগীর  সীমাহীন দূর্নীতির বিরুদ্ধে  অভিযোগ দায়ের করেও কোন প্রতিকার নাও হওয়ায় তারা আরো দূর্নীতি করে চলছে ।যথাযথ কতৃপক্ষ বিষয়গুলো খতিয়ে দেখলে এরচেয়ে বেশি দূর্নীতির সন্ধ্যান পাবে তার।

সকল অভিযোগের বিষয়ে বারবার ফোন ও এসএমএস করে কোন উত্তর পাওয়া যায়নি বগুড়ার পাউবো এর এই তিন প্রকৌশলী কারো